আদি পুস্তক
আলোর কোন ধারনা ছিলনা প্রথমে। পৃথিবী নিয়ে একপ্রকার খেলতে খেলতেই আলো ফুটিয়ে তুললেন ঈশ্বর। বুঝলেন আলো অন্ধকার অপেক্ষা ভালো। আলোতে পরিষ্কার হয়ে ওঠে বিষয়বস্তু। এরপর তিনি আলোর নাম দিন আর অন্ধকারের রাত্রি নাম রাখলেন।
রাত্রি
রাত্রি পাশের ব্লকেই থাকে।
রাজপথে সাইকেল শুইয়ে রেখে
অলস ভাবে বসে থাকে যে মেয়েটি
সে সব্বাইকে ছাড়িয়ে অনেক দূর এগিয়ে এসেছে
আসলে সে… ক্লান্ত
অনেকটা পথ পেরিয়ে আসার পর
মাঝে মাঝেই তার কানে বেল বেজে ওঠে
সতর্ক হয়ে তাকায় এদিক ওদিক
যদি কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীর দেখা পায়।
পরক্ষনেই পড়ে যাওয়া চেন লাগানোর চেষ্টা করে সে
হাত দিয়ে প্যাডেল ঘোড়াতেই
চাকার সাথে গুটিয়ে যায় সমস্ত রাস্তা
আর কোথাও যাওয়া হয়ে ওঠেনা।
অজুহাত
পৌঁছনোর অজুহাত পড়ে থাকে
অথবা যদি বাড়িটা একটু এগিয়ে আসে?
তাই চেষ্টা করে দেখেছে অনেকবার
রাস্তা শেষ হওয়ার পড়েও
সাইকেল চলে যায়
আর সাইকেল চলে যাওয়ার পড়েও
বেলের আওয়াজ পড়ে থাকে।।
জল
রাস্তায় দুটো রাস্তা এসে যায়
একটা চলতে থাকতে হয়
আরেকটা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়
তাঁর ওয়ান বি এইচ কে ফ্ল্যাটে
সেখানে সে শাওয়ার চালিয়ে রাস্তার পিচ ধোয়ার চেষ্টা করে।
কিন্তু ব্বক্ ব্বক্ করে ফাঁকা আওয়াজ আসে পাইপ থেকে।
এরপর ঈশ্বর সৃষ্টি করলেন জল।
Leave a reply