অশরীরী
১
ঝর্ণার খুব কাছে আমি শুই
মাঝ রাতে উঠে
চুল ধুতে চায় জিজীবিষা।
চাঁদ আসে কখনো কখনো
রুপোলি সুতোর নক্সা বিছায়
আমি তাতে গিয়ে বসি
স্মৃতি ফের দূরে চলে যায়।
২
সারারাত হাওয়ারা ঝগরা করে
মনের অমিল হাওয়াদেরও থাকে
মাটির অনেক নিচে শুয়ে আমি পাই টের
সময় ফুরায় কই তবু জীবন ফুরিয়েছে ঢের।
৩
গাছ ফুল পেতে দেয় রোজ
বাঁধানো সানে টুপটাপ ঝরে পড়ে ক্লেদ
এবড়োখেবড়ো মাটির অনেক নিচে
পায়ের শব্দ ভেসে আসে তোমার।
হেঁটে যাও রোজ এপথে ওপথে
জানি তবু থামনা আমার এখানে
রাখোনা গভীর হাত স্মৃতির পাঁজরে।
কবরের গহন অপেক্ষা দৃষ্টিহীন
মাটির অনেক নিচে পৌঁছয়না পরাজয়।
৪
জলছবি আঁকে দিনগুলো
নিরীহ তুলির টান সকালে সন্ধ্যায়।
বেলা আবেলার ফাঁকে
ধান খেতে নদীদের পাশে
কারা যেনো ফিসফাস করে
দুপুরের রোদ হেলে আসে ম্লান।
মাটির ওপরের পৃথিবী ঘন হয়ে আসে
বিকেলের নীরবতা নামে
আমিও শুয়ে থাকি একা একা
অনুভব করি প্রেমিকের সাইকেল হেলানো পাশে।
৫
জীবন কি শেষ হয়ে এলো?
এখনো স্টেশন বাকি কিছু
এখনও যদি হেঁটে যাও
বিকেলের দিকে
দেখবে পায়ের ছাপ আমার
তোমারই পালিত পথে
হঠাৎ তাকাও যদি পিছু।
এ জগতে কে আর ফুরায়েছে শখ করে
কে আর পেরেছে ভুলিতে ভালোবাসারে।
৬
কার কাছে জানাই নালিশ
নিজেই খুন করে মরেছি নিজে
অবয়ব স্থির জলে ভাসে
Leave a reply