সংকেত
ঈশ্বর ফিরিয়েছেন প্রাচীন মনসুন
কিছু ঘুম বাকি থেকে গেছে এই ভেবে
স্বপ্নেরা নির্ঘুম হয়
সুতরাং দুর্গের প্রাকারে পাহারায়
যোগ বংশীরা
ভেড়ার চর্বিতে জ্বলে মরণউত্থিত সব শিখা
শিখাময়ী, বেতমিজ অন্ধকার
তুমি বৃষ্টিতে পাঠাও, দেখো,
ভিতর নদীর জল টকটকে লাল
দেখো, নদী ছিঁড়ে ফেলা নৌকায় কী বীভৎস বৃশ্চিক রাশি
রুদ্রাক্ষের মর্ম থেকে ফিরে দেখো
ঘৃত দ্রাক্ষা পুষ্পরসে নাভিমূল
পূর্ণ হয়ে আছে
যোগমুদ্রা নিয়ে জ্বলছে শ্মশান বকুল
বরিষাকে ঋতুমতী করে গেছে গান
উঠেছে মল্লার
নিশীথ শ্রাবণ ধরো অসংযত চুলে
শরীর ওপরে তুলে বজ্রকে নিষ্পাপ করো
বিশুদ্ধ আত্মারা এসে দেখো কত
বাকসিদ্ধ সংকেত পাঠায়
বৃষ্টি
প্রারব্ধ জখমে আজ সম্ভাবিত হল বর্ষা, জাগো,
রোমন্থিত হও; রাতে লঙ্গরখানার স্বপ্ন আসে
স্বপ্নাতীত সেই প্রৌঢ়া দু মুঠোয় ধরেছে সন্ত্রাস
ভবনদী ক্ষুব্ধ হলে ত্রিশূলে গেঁথেছ শূন্য, মাগো
কী হেতু অক্ষর আমি সাজিয়েছি দগ্ধ সমবায়
কী হেতু শূন্যের মধ্যে লুকিয়েছি নিম হস্ত রেখা
বিতর্কিত জলে প্রৌঢ়া ফেলেছেন সন্ন্যাসের মেঘ
সব মেঘ টেনে নেয় বাতাসেরা; নামৃত্যু সংঞ্জায়
আদিবর্ণ থেকে কেউটে ফণা তুলছে, বেঁধেছো জঁটায়
মন্থনের গেড়িগুগলি আশ্রয় নিয়েছে স্তনছায়
চক্ষু দুটি ওঠালেই সহস্র বজ্রেরা নেমে আসে
পিঁপড়েরা সন্ত্রস্ত ভূমে ছুটি চাইছে; কুম্ভের সংকটে
চিদালোকে বার্তা দাও, মহাযোনি থেকে ওঠে বট
হ্লাদিনী ব্যথায় শোয়, নাদব্রহ্ম ছুঁয়েছে সন্ত্রাস
অতিদেশ
মেঘ ও বৃষ্টির দেশে এ ফকিরি নিয়েছি, তফাতে
লহুবিন্দু বুকে নিয়ে অবিমৃশ্যকারী ডানা যেভাবে কেঁপেছে
সূর্যের ঔরসে ভেজে যতভাবে জেহাদী দুপুর
পোষ্য সব পাখি এসে চঞ্চু রাখে রক্তমাখা ভাতে
আলি আলি আলি
যোগিনীর হাসি কেউ রাখে কেউ দগ্ধ দীপাবলি
আমার এ অন্তর্বীজ ছ মাত্রার আলো জ্বেলেছিল
আমার এ অন্তর্কীটে প্রাণবায়ু কখনো ঢুকেছে
কখনো নদীর ছায়া মুঠো ভর্তি উড়িয়েছে ছায়াবালি ভস্মরূপ বালি
ফকিরের ভাষাতত্ত্ব সহজিয়া চিরাগ সকাশে
ভাতের ঐহিক গন্ধে ফেরা ওগো দেবতার মেয়ে
কিছুটা বৃষ্টির আঁচ
কিছু মেঘের দরবারী
নিয়ে যাও দেশ থেকে গূঢ় অন্তর্দেশে
আলি আলি আলি আলি আলি
বারুদ গিলেছি আমি
অতিদেশে ভস্মরেখা
অঙ্গার এনেছে বনমালী
মল্লার
ভিতর বাড়ির থেকে বাঁশির
উন্মাদ পুড়ে যায়
ঝলসানো মল্লার আমি তো আগেই
গুছিয়ে রেখেছি
হৃদিযন্ত্রে অন্ধত্বের সুরে..
রক্তগঙ্গার পাড়ে
বিভিন্ন বরিষায়
জরায়ু উন্মুক্ত করে প্রতিরাত্রে
নশ্বর রক্তজবারা
Leave a reply