অন্ধকারাখ্যান
১
হয়ত কোন পোষ মানানো লালচে হোমা পাখি
ভাবছে বসে– তারার দেশে সন্ধে কখন নামে
আমরা যারা ডায়েরি জুড়ে বিষাদ লিখে রাখি
তাদের কিছু স্বপ্ন থাকে আলোয় মোড়া খামে
২
আমরা যারা খুব বিহ্বল, ঘুম আসে না রাতে
ছাদের ঘরে তাদের কেন জাঁকিয়ে ধরে শীত
সাথে থাকার ইচ্ছে ছিল, কেউ ছিল না সাথে
ছিল দুঃখ ! ছিল মৃত্যু ! ছিল রবীন্দ্র-সঙ্গীত !
মৃত্যুর উপমা
১
জ্যান্ত কবিতা থেকে মৃত্যুর উপমা খাবলেছি
সামান্য ভোগান্তি গা-সওয়াই হয়ে গেছে সব
মায়ের কান্না বেয়ে বহুদূরে ভেসে চলে গেছি
যাতে না ফুরিয়ে যায়, আমার অপারশৈশব
২
ক্লান্তি বেড়েছে, তবে ভ্রান্তি আসেনি একটুও
সহ্য-ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে ভেব
যার যায় সে’ই জানে, বাদ বাকি সমস্ত ভুয়ো
সামনা-সামনি পেলে এক্ষুনি পুঁতে রেখে দেব
৩
সম্মান করি বলে এ মাথায় উঠিয়ে রেখেছি
ঈশ্বর বলে তুমি ভেবো না, তুমিই সব পারো
তুমি বলেছিলে, তাই মৃত্যুর মিছিল দেখেছি
মৃত্যু চাই না আর, আমাকেই বারবার মারো
আলো নিয়ে আলোচনা
১
সারাদিন যত পাপ করি, তুমি তার কতটুকু জানো ?
মাঝে মাঝে রাগ করো, কিছু কথা চেপে যাও, বুঝি
আমিও তো চেপে যাই, কখনও বলিনি সোজাসুজি –
তোমায় জড়িয়ে নিলে বেজে ওঠে আলোর পিয়ানো
২
পিয়ানোর সুর থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসে রোদ
কখনও বা টোকা মারি প্রসূতি মেঘের কিনারায়
জল ঝরে যায়, আমি ছুটে যাই আলোর ডেরায়
আলোই তো শুষে নেয় আমার সকল পাপবোধ
৩
পাপের গভীরে ঘাস, ঘাসের গভীরে তৃণভূমি,
আমার ব্যাপারে সব খুঁটিনাটি জেনে নিয়েছ তো ?
ভুল বোঝাবুঝি হলে থেকে যেও আগেকার মতো,
এলে সাবধানে এস। গেলে সাবধানে যেও। তুমি…
আমায় থাকতে দাও দরজা-জানালাহীন ঘরে
আলো নিয়ে আলোচনা থেমে যাবে কিছুদিন পরে
Leave a reply