জঙ্গলের আগুন
যেভাবে জঙ্গলে আগুন ছড়ায়
সেভাবে আমাদের ভালবাসা ছড়ানোর
কথা ছিল।
কাঠবাদাম রঙের, বুড়ো খরগোশটাও জানত-
বনভৈরবীর থানে
বেলি ও বীজীবেগুনের পরিমাণ!
অথচ, দেখতে দেখতে
নীলাম্বরীর নীল আঁচল
পুড়িয়ে নিল, পেখম মেলা রোদ্দুর-
আমরা কেউ বুঝিনি,
জঙ্গলের আগুন নেভাতে-
আরও আগুন কীভাবে লাগায়!
গন্ধ
একটিমাত্র গন্ধে বিভোর হয়ে যাই বারবার।
যারা ভেবেছিল, তোমাকে খুন করার পর,
গুম করার পর, কুচি কুচি করে কেটে-কুকুরকে খাওয়ানোর পর;
সবকিছু মিটে যাবে
তারাও আজ উদ্ভিদের মতো নীরব…
তল্লাটে তলা নেই; তবু গাঁ-ভর্তি উস্কোখুস্কো চুল
হাঁ-মুখ বালিশের নীচে, ওরা রেখে গেছে
সবুজ অন্ধকার…
পাহাড়ের গায়ে নদী। নদীর ধারে কঙ্কালের গাছ।
ওই ডালে,
চষা মাটির গন্ধে
ভোর এসে বসেছিল
গতকাল…
ম্যাজিক
প্রতিটা হারানোর গল্পে একটা ম্যাজিক থাকে
আর থাকে, একটা ছেলে
একটা মেয়ে
ছেলেটা, বেলুন থেকে পায়রা বার করে
উড়িয়ে দেয় আকাশে
মেয়েটাও, রুমাল নাড়িয়ে হাওয়ায়
চিনিয়ে দেয় প্রকৃত বেড়াল।
তারপর,
মঞ্চের সব আলো নিভে গেলে
তারা দুজনেই স্মৃতির জরি কুড়ায়
বাকি থাকেন রিংমাস্টার…
রাত গভীর হলে
তিনিও কোথাও
খিদের শিল্প এঁকে,
ভুডুর পুতুল পোড়াতে যান…
কুটুস ফুলের ভালোবাসা
আমাদের এক ঈশ্বর আছেন।
আমাদের এক জ্বীন,
এক ফেরেস্তার প্রতি টান।
হাওয়া?
সেও তো সূর্যের থামে
ছত্রমঞ্জরীর হাদিস ছড়ায়।
বিশাল ক্রুশ ও কাঠে-
তুমি আমাতেই
হিম হিম প্রণাম!
ওজুর অভাবে একদিন ভস্মমুখে
ফিরি আমি
দেখি
সেদিন তুমি, চিন্ময় চন্দন!
পরাগমাখা ঘরে সব
চুন-সুরকির ভোর…
প্যারাসিটামল ক্লাস
রাতের রাংতা আকাশ।
চোখ বুঝবি তুই?
অঙ্ক খাতার ভূত, শামুকের শীতঘুম
সবই আছে,
তবু জানি কতটা নিঝুম!
প্রিয় বই থেকে
হাওয়ায় হাওয়ায়
কত’না হেলিকপ্টার ফড়িং
বন্ধু হয়েছে তোর!
অথচ আমার চলা
ক্লান্তিহীন, ঘুমহীন।
পটপটি ঘাসের ভেতর;
ক্ষতলিপি লুকিয়ে রাখি আড়ালে।
দ্বিধার ঠোঁটে অনুপ্রাস খেলে,
আঙুলে ইতিহাসে
কৃষ্ণফলকে
লেগে থাকে কার
কুসুম কিশোরীবেলা।
Leave a reply