জল উড়ছিল
ডুবে যাওয়ার আগে কেউ
লড়ে যাচ্ছে ভাষা নিয়ে
শান্ত শব্দটির মধ্যে একটি ঘর
উত্তাল শব্দটির মধ্যে ঝাউবন
চোখ উড়ছে
ভেসে যাওয়ার আগে ভাষা নিয়ে
পথটুকু নিয়ে
আমি তুমি থেকে হামতুম
মাঝে দু\’ হাজার কিমি
দৃশ্য ও ধ্বনির মধ্যে তিন রঙ
থেমে যাওয়ার ঢেউ গড়ছে ভাঙছে
ছড়িয়ে পড়া অন্ধকারে যেন বইঠা
উঠছে নামছে একটি লন্ঠন
দিয়ারা দিয়ারা
কারও নয় অন্ধকারও নয়
আলোদের দাঁড়াবার জায়গাটি
হয়ে যায় সরণী ও লেন
তমসা উপত্যকার তাঁবুকুঠি
সামনেই হার্ডবাউণ্ড রক ও ক্লাইম্বিং
বালির পেপারব্যাক ঠিক আশেপাশে
হাঁটা যাক এভাবে আরম্ভ
পা দুটিকে ডাকে কেউ এভাবেও হয়
উল্লম্ব সমাস ও ষত্ববিধান
তালু মুর্ধা ওষ্ঠ ও গলায় কান পেতে
সয়ে ষয়ে মিশ্ররাগ সম্বাদী বিবাদী
কি লিখি এবং কেন
হাতে দেশলাই আর লাইটার মুঠিতে
শান্ত হাওয়ায় ভাসে অচেনা পিলসুজ
ভিনদেশী দিয়াগুলি উত্তাল বাতাসে
সাদা পাতাগুলি জ্বলে
কারও কেউ জ্বলে ওঠে
খুলে যাওয়া পাঁচিল
পরিযায়ী অন্ধকারে দীর্ঘ জল ঘেঁসে
যে গিয়েছিল
যে বারান্দা শব্দ করেনি
ডায়েরির ভাঁজ থেকে রেলিং সমেত
ভাঙতে ভাঙতে মিশে যায় রোড আর পথ
থ্রি বিএইচকে ধমনী বেয়ে চড়কিরত গংগাম্মা সার্কেল
যে শব্দটির পাশে মুখমোছা রুমালেরা
যাওয়া থেকে খুলে যাওয়া বুলন্দ পাঁচিল
পরিযায়ী শব্দটি উঠে গেলে মালাই বরফ
হাতে কাঠি পড়ে যায় আর
সত্তর কিলোমিটার বেগে ছুটে আসা ভালবাসা
জানলার কাচ ভাঙে মেঘ ভাঙে
উপন্যাসোপম জলের প্রথম লাইনটি
বিছানা পেরিয়ে যায় প্রেসার কুকারের দিকে
তিন চার সিটি দিয়ে সিদ্ধ হয় ডায়েরি রেলিং
আশি বর্গ কিলোমিটার জুড়ে খেতে বসি
পংক্তিগুলি খাই
দু\’ একটা আকাশ
রোদ, জল নিয়ে যাচ্ছে
মনে পড়ল কজ্জল শব্দটি
যতজন কাজলের সাথে দেখা হলে
বেশ অনেকটা বাঁচা,হয়ে যায়
যেসব অনেক জলে কোনদিন
কালো হয়ে আসে শূণ্য
দু\’ একজন আকাশের কথা
কলেজ ক্যান্টিন আর যমুনাবাঁধের কথা
খালি গ্লাসে যার ছায়া
বাঘা যতীন স্টেশনে যার
যেন কলমিডাঁটা হাত
যেন আঁকা চোখ
ছুঁলাম এবং আবারও
যাচ্ছি কোন ছোঁয়ার দিকে
রোদের সাথে, কাজলের সাথেও
রোদের সাথে, কাজলের সাথেও
ঝরা প্ল্যাটফর্ম
এই ঘরে বসন্ত থাকত
লিখে দেখি ডালে ডালে উৎপলকুমার
ফলে কেবিনের দিকে যাই
দেখি ডোন্ট ডিসটার্ব লিখে রেখেছেন বিজয় কাঠুরিয়া
এখন সামনে মেঘমল্লার আর পানপাড়া
মল্লারের শুরুতে মিয়াও আছেন
আর বরজও বস্তুত এক ম্যাগনাম পানপল্লী
এই ক্যালেন্ডার থেকে বেরোবার পথে পথে
আমার কেওয়াইসি হারানো বছর
এম.এল.এর দেওয়া রেসিডেনশিয়াল হাতে
বন্ধন ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে বসন্ত কেবিন
পরপর রোদ ছায়া বিজয় উৎপল
ভাবি ঝরে পড়ব জলকণা পাতা
সদ্য ফসল তুলেছি
সবে নাড়াপোড়ার ধোঁয়ায় চৌহদ্দি চিনলাম
এবার পত্রমোচী সতেরো নম্বর প্ল্যাটফর্ম
কুহুপিক টুথপিক ট্রলি ও পলাশ
পঞ্চম ট্র্যাকে ছুটবে মেঘপায়ী দুরন্ত এক্সপ্রেস
10 comments on “কবিতা : রঞ্জন মৈত্র”
Bhajan Datta
ভালো লাগলো
ভবানী শংকর চক্রবর্তী
অনেক দিন পর একগুচ্ছ কবিতা পড়লাম রঞ্জনদার ।খ খু ভালো লাগলো। আমার একরাশ ভালোবাসা।
রঞ্জন মৈত্র
শুভেচ্ছা
রঞ্জন মৈত্র
ভাল থেকো ভবানী। আনন্দ পেলাম।
aavijitdaskarmakar@gmail.com
প্রতিটি কবিতা স্বতন্ত্র এবং নিজস্বতার ছোঁয়া বহন করছে।আমার খুবই ভালো লেগেছে রঞ্জন দা।ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা নেবেন দাদা ।
Deep Chanda
কি যে ভালো লেখাগুলো
রঞ্জন মৈত্র
ভালাবাসা নিও। তোমার সংগে যোগাযোগ হবে শিগগির। ভাল থেকো।
রঞ্জন মৈত্র
আদর নিস। লেখায় থাকিস।
Unknown
প্রতিটি কবিতাই ভালো লাগল
রঞ্জন মৈত্র
ধন্যবাদ