অশ্রু
এত স্বচ্ছ, নিরুত্তাপ। তবু কেন ক্রোধ বেঁধে রাখো
কৃষ্ণনামে আলো দাও
সুজন, এ চোখ ছেড়ে কোথাও যেয়ো না
স্বপ্ন
মেঘের গর্জন ছেড়ে দূরে চলে গেল পানসিটি
আমি তো সেখানে নেই। অথচ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট গাছ
জলের ছলাৎ-ছল, ঢেউয়ের দুলুনি টের পাই
তেষ্টা
প্লাটফর্মের শেষে রাধাচূড়া গাছ। পাশে পানীয় জলের টাঙ্কিটি
প্রথম বগির কেউ দু-মিনিট হাতে নিয়ে নেমে পড়লেন
তেষ্টা বোঝাতে গিয়ে বন্ধুকে প্রায়শই এ ঘটনা বলি
শৈশব
সমস্ত মেলা ঘুরে কেনা মাটির পুতুলগুলি একে একে
ভেঙে গেল। পাঁচিলের কোণে তারা যেখানে শোয়ানো
তারই নীচে ইঁদুরের ঘরে আমার দুধের দাঁত এখনও রয়েছে
দেশ
ঠাকুমা মারা যাবার পর তাঁর পুঁটুলিটি উদ্ধার হল
একটি পিদিম, দুটি ঘটি আর পিতলের মোহন বাঁশরী
বোধয় স্থানাভাবেই, বাকিটুকু বুকে বয়ে নিয়ে এসেছেন
মুকুর
যে সহাস্য ছবি দেখিয়েছ তুমি আসলে তা অস্থায়ী, ভ্রমণ
জানি, হাত থেকে পড়ে গেলে পুনরুদ্ধার আর সম্ভব নয়
টুকরো হয়েছ যেই, আলোর সততা এসে তোমাকে কাঁদাবে
শ্মশান
নৌকো চলেছে ভেসে। ছই ভরা যাত্রীরা সকলেই ভ্রমণপিপাসু
জোলো হাওয়ার ইঙ্গিতে দুলে ওঠা লণ্ঠনে মাঝি হরিনাম জ্বালছেন
দূরে একেকটি তারা ফোটবার শব্দে কেঁপে উঠছে নদীর আঁচল
অদৃষ্ট
দুধের শিশুর মতো, তার নামে চিনি না এখনও। শুধু
কৃপণ মুঠির মাঝে আঙুলের মাপটুকু ধারণা করেছি
আঁশটে গন্ধ আর নোনা স্বাদ। মানুষের অর্জন এর বেশি নয়
14 comments on “কবিতা : জয়ীতা ব্যানার্জী”
শুভাশিস মণ্ডল
ভালো লাগল ।
জয়ীতা ব্যানার্জী
ধন্যবাদ
বিকাশ গায়েন
ভাল লাগলো
PriyankaPuja
বাহ। প্রিয় কবি। ভালো লাগলো সব কটাই
জয়ীতা ব্যানার্জী
অনেক ধন্যবাদ
Sudip Chattopadhyay
প্রতিটি লেখাই অত্যন্ত ভালো, মনে রাখার মতো
Piyali Majumder
প্রতিটি লেখা মনে রাখার মতো।
জয়ীতা ব্যানার্জী
ধন্যবাদ সুদীপ'দা
জয়ীতা ব্যানার্জী
ধন্যবাদ
ব্র ত তী
খুব সুন্দর
লাইব্রেরি
This comment has been removed by the author.
লাইব্রেরি
তিনলাইনের কবিতা নিয়ে কবিতাগুচ্ছ, বেশ ভাল লেখাগুলো । অদৃষ্ট, শ্মশান, মুকুর ,এই তিনটি কবিতা বাকিগুলোর তুলনায় অন্যরকম । তিন পংক্তির কবিতা বলে এগুলোকে হাইকু বলব না । বললেও অসুবিধে নেই । তবে ,এমন গুচ্ছকবিতা মনের একটি নিরঞ্জন অবস্থা থেকে বেরয় । সেই ভাবটি অনুভব করতে পেরে ভাল লাগছে ।ভাল লাগল লেখাগুলো ।।। শুভদীপ নায়ক ।।
জয়ীতা ব্যানার্জী
ধন্যবাদ ব্রততী
জয়ীতা ব্যানার্জী
অনেক ধন্যবাদ।