মামুলি
কখনো কখনো এভাবেই থেকে যায় কেউ
পাহাড়ি ঝর্ণার পাশ কাটিয়ে
বিকেলের নীল পর্দার পাশ কাটিয়ে
জেগে ওঠা দুপুরের বুদ্ধমূর্তির কাছাকাছি
এভাবে থেকে যাওয়া হয়ত সহজ
এই সব নিয়ে কথা হত আমার আর দিগন্তের মধ্যে
দিগন্ত রায়, নদীর শব্দ শোনাতে পারত যে কোনও সময়
আমরা ঢালু বেয়ে নামতে চাইতাম অযথাই
আর সন্ধে হয়ে আসত
এভাবেই থেকে যাওয়া যায় কি না
তা নিয়ে ভাবার আর সময় থাকত না
এভাবে থাকতে চাওয়ার মধ্যে যে ভুল কিছু আছে, তা নয়
পুরনো কাঠের আসবাব যেভাবে থেকে যায়
জঙ্গলের মধ্যে যেভাবে থাকে লুকোনো কুয়ো
একে ওপরের মধ্যে যেভাবে গোপন থাকে অবিশ্বাস
কখনো কখনো সেভাবেই থেকে যায় কেউ
বাইরে থেকে বোঝাই যায় না
অসময়
সন্ধেবেলায় এলে
ঠিক যেন আয়নায় ধরা পড়ে গেছ
ছোটবেলা
খিদে পেয়েছে হয়ত
কতদিনের জমিয়ে রাখা কথা
সহজেই
তোমার খিদের সামনে
জেগে উঠল আমার স্নেহ ও সন্তাপ
অসময়ের ক্ষত
বিগ্রহ
ভিতরে সে মানুষ নয়
প্রখ্যাত, পাথরের ভাঙ্গাচোরা বিগ্রহ যেমন
যাকেই পেয়েছে সামনে
ভেঙে ভেঙে, গড়ে গড়ে মনের মতো
ক্লান্ত এখন
আলো এসে সহজে পড়েছে ভিতরে
দেখেছে আশ্চর্য
অথচ সে মানুষ নয়
লোকে বলে
বিগ্রহের মতো, ভাঙ্গাচোরা, পাথরের
Leave a reply