চিঠিসংক্রান্ত কোলাজ
১.
নিষিদ্ধ নদীর কাছে গেলে
বেঁচে থাকা মাছেদের কোলাহল শোনা যায়
এক একটা হরফ আবছা হয়ে আসলে
চিঠির বাক্যগুলো দুহাত বাড়িয়ে আমাকে ডাকে
তখন অসম্পূর্ণ ফ্রেম থেকে বেরিয়ে আসে
উচ্ছিষ্ট কথোপকথনের ইতিহাস
ধূসর হতে থাকে জং পড়া অনুভূতিদের জানলা
টিলা থেকে গুঁড়ো গুঁড়ো বিকেল
মিশিয়ে নিই নীলচে আকাশের নাভিমূলে
এসব আয়োজন কবিতার ম্যাপে ধরা যায়না
শুধু চিঠির মাধ্যমে ভাষান্তর করা যায়
আনন্দ উপচে পড়ে ভেজা মনছবির ওপারে
সুর ভেঙে গেলে আজকাল আর কোথাও তাকে খুঁজে পাইনা
ছায়াপাট নষ্ট হচ্ছে তীব্র শূন্যতার দাপটে
আর আমি খোলা ছাদের উপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
উত্তরের ভাষা হারিয়ে ফেলছি
৪.
অসুখ গুঁজে রাখি
শুদ্ধতম জীবন খুঁজে চলেছি বালির তলায়
গভীরে গিয়ে ও একফোঁটা সৌন্দর্যের লীলাভূমির খোঁজ পাওয়া যায়নি
পৃথিবী সবুজ হলে আবার লেখা হয়ে যাবে
ঘাসফুলের কাছে বৃষ্টির চিঠি
সবটুকু হারিয়ে যাওয়ার পর
দ্রাঘিমা রেখার ওপর দিয়ে অনায়াসেই হেঁটে যাওয়া যায়
জ্বলন্ত সিগারেটের পাশে
একটা বিকেল দূষিত হলে
কচুরিপানার সম্রাজ্যে অতীত ঘোলা হয়ে ওঠে
তখন বাস্তুতন্ত্রের ছক ভেঙে বেরিয়ে আসে
মুঠোভর্তি অবহেলা
2 comments on “কবিতা : সায়ন্তনী হোড়”
Unknown
ভালো লাগলো..
Rudra Kinshuk
path korlam. 2no kabitai ja bolechhen, amader bhabna ektu anyorakom. kabita, sangit ar painting–i ja kichhu sukshmatam, gurhatama, anirbachaniyo — take prakash korte pare. jai hok. kabitaguli porechhi.