পরিত্যক্ত বাড়ির গায়ে শ্রাবণ লেগে আছে
একটু একটু করে সেখান থেকে জল ঝরে
ঝরে যাওয়া পাতার অভিসার নিয়ে
আমি আসি এখানে ; পরিত্যক্ত এই উঠোনে
ছিঁড়ে যাওয়া মাদুরে বসে
তোমার কথাই লিখি; লিখব
গৃহে না ফেরা পথিকের কথাও
একদিন পিঁপড়েরা এইসব লেখা নিয়ে
চলে যাবে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে
অন্ধকার নেমে আসা দিগন্তপ্রান্তরে
ধুলোগাছ
সোনা নয়,তোমার সঙ্গে
ধুলো নিয়ে কথা হ য়েছিল
তারপর ধুলোর ছায়ায়
কেটেছে আমাদের কিছু দিন
রাত্রিও
আজ কোথাও ধুলো নেই
ধুলোর ছায়াও নেই
ধুলোহীনতার ভিতর
আমরা রোপণ করতে চলেছি
একটা নির্জন ধুলোগাছ
অশ্রকণা
শুধু ছুঁয়ে থাকা
তার জন্য সেই কবে
ঘরবাড়ি ছেড়ে
এসেছি এখানে
এই নদীতীরে
নদী,আঁকাবাঁকা, বয়ে চলেছে
মূক মাঠের ভিতর
মূক হয়ে যাওয়া ভাষা ছুঁয়ে
আমি জেগে আছি
ভাষারই রুধিব ধারা
লুপ্তপ্রায় অশ্রুকণা
শিশির
নদীর এপার থেকে দেখলাম
ওপারে,নির্জন পথের বাঁকে
তুমি ফুটে আছ
আকাশে যত তারা রয়েছে
তারা কেউই তোমার পাশে এসে দাঁড়ায়নি
নদীও এঁকেবেঁকে চলে গেছে মোহনার দিকে
শুধু একবিন্দু শিশির
লেগে আছে তোমার পাপড়িতে
সংগম
এসেছে যে তাকে প্রশ্ন কোরো না
সূর্যাস্তের ছায়ায় তাকে বসতে দাও
একবার সে বসুক
নিজেকে নিঃস্ব করে
পোড়া আকাশের নীচে দাঁড়াক
তারপর কথা হবে
চাঁদ
শুধু এখানে নয়,নদীর
চারপাশেও ছায়া পড়েছে
জলের ছায়া, ছায়া
সমস্ত ছায়ার ভিতর
আমি জানি,লুপ্তপ্রায় একটা চাঁদ,
একা জেগে থাকে
সমস্ত ছায়ার ভিতর
আমি জানি,লুপ্তপ্রায় একটা চাঁদ,
একা ঘুমিয়ে থাকে
পথরেখা
তার কাছে বারবার আসি
তার ডানা তো আমারই আকাশ
মেঘ সরে গেলে
সব আকাশের ভিতর চাঁদ ওঠে
ক্রমে চাঁদের আলোয়
ভাস্বর হয় আকাশের ছায়াপথ
গোপন পথরেখা
One comment on “কবিতা : গৌতম মণ্ডল”
Unknown
ফেসবুক লাইভে আপনার 'কবি ও তাঁর কবিতা' নিয়ে আলোচনা ভালো লেগেছে। আপনি এগুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশ করুন। উপকৃত হব। ধন্যবাদ।