মেয়েরা এমনই হয়, ফেরে না ইচ্ছে করে কখনো।
ফেরাতে হয়। ফেরানোর মন্ত্র ভুলে গেলে,
বিষাদ চুইয়ে পড়ে। দূরন্ত হরিণহৃদয় ছুটে ,
পড়ে থাকে সবুজ জমিন। ছেলেটি ভিড় উপেক্ষা করে
ভালোবাসে একা নিজের এ শূন্যঘর।
অথচ ভিড়েই মিশে গেছে অনন্তের সে ফড়িং।
মেয়েটি রোজ ফড়িং হয় উড়ন্ত গুঞ্জন।
ছেলেটি মনের ভিড়ে মেয়েটিকে খুঁজে খুব,
জানেনা ছেলেটিও ফড়িং হতে পারতো কোনোদিন।
ঠাহর
এখন কে যে কোন দিকে দৌড়ুচ্ছে ঠিক ঠাহর করতে পারিনা,
চোখের দর্পণে কিছু ছায়া এপাশ, ওপাশে ছুটে যাচ্ছে।
এসব ছবিমানবদের অনেকেই আমার বিশেষ চেনা জানা কেউ নয়।
মনে হয় ছবির ভেতরে তোমাকেও মেলাতে পারছিনা
চোখে শুধু কুয়াশা এখন, কুয়াশায় মিশে কার আশ্চর্য নয়ন?
সেই নয়নের সাথে আর মেলাতে পারিনা সঞ্চিত এ অসুখ।
নিজের ছায়ার সাথে বহুরাত নিজেকেই মেলাতে চেয়েছি,
তোমারও ছায়ার থেকে ছবি কেমন আলাদা মনে হয়।
ক্ষয়িষ্ণু চাঁদের ছায়া ক্লান্ত নদীতেই ডুবে দূরে।
এখন কে-যে কোন দিকে দৌড়ুচ্ছে অসুখ নিয়ে ঠিক ঠাহর করতে পারিনা।
সোনালি মাছিরা
জীবনের ব্ল্যাকবোর্ড থেকে ভুল বর্ণগুলো তুলে দিয়ে
সুচারু করতে চাই ।
কিছু ভুল ইচ্ছে করে রাখি যেন নজর এসে আটকে
যায়,ভুলের কার্ণিশ জুড়ে।
এসব ভুলের ধারাপাত লিখে একদিন নিজেই তো
হবো ভ্রমের হলুদ ফুল।
এসো তখন, দেখো সোনালি মাছিরা কেমন ভনভন
করে, গনগনে জীবন ছুঁয়ে, ভুলের বিরহ নিয়ে।
যাপন
ভালো থাকার মন্ত্র জেনেছে রঙীন মানুষ,
জীবন চিনেছে চটি খুলে সড়ক ভ্রমণে।
স্মৃতিহীন মানুষ নিয়ে কে ভাবে স্বল্পসুখ!
সেইসব ছবি আলো হয়ে রেখেছে জড়িয়ে।
মাঝে মাঝে ঘাই মারে এসে শান্ত জলাশয়ে,
ঢেউ গুণে কাটাতে শিখেছি রাত্রির অন্তরে।
সঞ্চয়
অর্ধেক সময়ের অধিক কাটলো আমার,
মাটি ও কাদার এ সংসারে ব্যর্থ অন্ধকারে।
কোথাও আলোর বার্তা আছে সম্মুখে সঠিক।
বাকি কম অর্ধেক জীবন কেটে যাবে ভেবে
সঞ্চয় করিনি কিছু হাতে,শূন্য হাত নিয়ে
বালি মাড়িয়ে চলেছি দূরে পাহাড়ের দিকে।
ওখানে খেলছে হাওয়ায় এক জাদুকর,
সকলের সঞ্চিত সম্পদে পূর্ণ তার ঘর।
নেই তো কিছুই হাতে তুলে দিতে পারি তার,
শূন্য হাত নিয়ে বারবার এ প্রণয় উঠে দোলে।
Leave a reply