আবার জমে থাকা মেঘের গল্প লিখবো আমি
পাখিরা আক্রান্ত হলে শরীর থেকে খুলে
ফেলবো ওভারকোট
দু পকেটে খুচরো কয়েন।
ভুলে যাওয়া মেয়েদের জন্য নূপুর
এনেছি
এত এত মন্দমেদুর হাওয়া।
মরাকান্নার ভেতর গুড়ি মেরে ঢুকে পড়া
কুয়াশা
নদীতে শীত।
ভ্যানিস হয়ে যাওয়া দ্বিপ্রহর।
আমাদের বেঁচে থাকাটা আত্মঘাতী গোলের
মত
ফ্রেম
আসুন ফ্রেমে ঢুকে পড়ি আমরা
গিনিপিগের হাড় দিয়ে বাজনা বাজাই
ক্যামেরা থেকে দূরে ব্যক্তিগত অবসর
বিপর্যয়ের ভেতর মুখ থুবড়ে পড়ি
ঢিল মেরে ফাটিয়ে দেই ফাঁকা কলসি
এদিকে হাসির নাটকে অভিনয় করে বিজয়ীর
বেশে ফিরে আসছো তুমি।
তোমাকে জড়িয়ে ধরে মরা জ্যোৎস্না
স্মৃতির ওপর তেমন কোন নির্ভরতা নেই
জলের তোড়ে ভেসে যায় সমস্ত পুরোন
সাঁকো
খামারবাড়ির কবিতা
খামারের হলুদ নিয়ে উড়ে যাবে চিল।
ছিটকে আসা আলোয় দেখি শুয়ে থাকা মরা
বাঘ
হয়তো অনেক বছর বাদে বন্ধ কারখানার গেটে
তোমার সাথে দেখা হয়ে যাবে।
রুপোলি চুল নিয়ে কথা বলবো আমরা
হারমোনিয়াম ও অর্গান বেজে উঠবে
হসন্তপ্রিয় শহরে গজিয়ে ওঠা রেস্তোরাঁয় জমে
উঠবে বুধবারের হাটের গল্প
পাঁচ বুড়ি গোল হয়ে নাচে
সরষে খেতের পাশে স্থবির জলাশয়
গান ও গাঙ জড়িয়ে পাঁচ বুড়ি নাচে
নাচ তো একধরনের সর্বনাশ
সেই কবে তুমি হারিয়ে ফেলেছো চুল বাঁধবার
ফিতে
এখানে উষ্ণ জলের ফোয়ারা
নিরীহ সাপের মত মৌজা ও মানচিত্র
ব্যাঙের ডাকের পর পরই বৃষ্টি নেমে
আসে
কত কত বিকেল সাজিয়ে রাখতে
কেদারা থেকে সরে যেত আরাম
ময়দানে নেমে পড়ছেন সেরা গোলকিপার
স্টেডিয়ামে ঝড়ের শব্দ
জীবনের ভেতর ঢুকে পড়ছে দাবানল
হাততালির বাজনা
প্রসূতিসদন থেকে কান্না নিয়ে ফিরি
কান্না মানেই লেবু মেশানো জল
উপহার হিসেবে যথেষ্ঠ ভালো কাঠের
তলোয়ার
হাতিমাহুতের গান ভরা সিডি।
তরুণ কবির লেবুবাগানে ক্ষুরধ্বনি জমে থাকে
বিশ্রামের সময় নিয়মিত রেডিও
শুনি
কতদিন পোশাক বদলানো হয় না
পেনসিলের সিসে আঁকা হয় না
বর্গক্ষেত্র
দিন শুরু হয় পাখিমৃত্যু দিয়ে
গুরুত্ব পাচ্ছে গাছের ছায়া
মেঘবাদলের রাতে রহস্য বাড়িয়ে দেয় পিতলের
ঘন্টা
লাল মোরগ পালিয়ে যাচ্ছে রবারবনে
আর ঝুমচাষিদের জন্য তুলসী পাতার
রস
Leave a reply