ক্ষয়িষ্ণু সময়
বিনীত কিছু কথা বলে যেতে চাই
আদি অন্তহীন সময়
আমাদের অনুকূলে নয়
তাই যথারীতি ঢেউ ওঠে আর ভাঙ্গে।
প্রতিদিনের পা ফেলা যে মাটিতে
তার চরিত্র নিরূপণ
সহজ নয় বলেই
মাঝে মাঝে বিস্মৃত হয় কথিত সময়।
জীবনের ধারাপাত যে পড়েছে নিবিড়
সেই শুধু জানে সাবধানে পা ফেলা
কত প্রয়োজন।
জহুরীর চোখ দিয়ে দেখো
কালস্রোতে ভেসে যাওয়া সময়
কীভাবে ক্ষয় হয় প্রতিদিন।
কথা বিষয়ক
বেশ কিছু কথা আজকাল
আটকে থাকে ঠোঁটে।
কিছু বললেই এমন সব উত্তর
নেমে আসে গায়ে জ্বালা ধরে যায়।
অথচ এক সময় কথার বিনিময়ে
জগৎ জয় করা যেত। স্নেহময়তা
ধরা পড়ত কথায় কথায়। এখন
বাণী বলে কিছু নেই আছে শুধু
তীব্র হুল ফোটানো কথা এতে
মাথা ব্যথা বেড়ে যায় ভাবি
স্নেহময় কথাগুলো হারালো কোথায়।
বাঁকের আঁক
মন থেকে মনান্তরে যেতে
বেশ কয়েকটি বাঁক আঁক কাটে
মনে। কেন যে এমন গতি তার
সে কথা ভাবতে ভাবতে কখন
হই যে ঘরের বার কে জানে!
কখন কে যে গোপন টানে টানে
কে জানে। একদিন মনে হত যাকে
ছাড়া বাঁচা সম্ভব নয় সেই একসময়
এতো বিরক্তিকর হয় সে কথা
বলার নয়। ভালো মন্দের
হাজার দ্বন্দ্বের মধ্যে এই
চলাচল সমাজে কোলাহল তোলে
বারবার।
চলমানতা
পালনীয় কর্তব্য সামনে এসে দাঁড়ালে
যত বাধা থাক দুহাতে সরিয়ে
এগিয়ে যাওয়াই মানুষের স্বভাব।
এইভাবে গড়ে উঠেছে সমাজ সংসার।
ভুলের মাশুল ও দিতে হয়েছে অনেক সময়
তবুও মানুষ বিচলিত নয়।
ধীর স্থির মাটির মতো
বসে থাকার স্বভাব নেই, মানুষ পদাতিক।
দুচোখ যেদিকে যায়
হেঁটে যেতে যেতে খূঁজে পায় তার আশ্রয়।
আশয় বিষয় এভাবেই গড়ে উঠেছে
মৃত্যুতে এসে থেমে যায় দমকা হাওয়ায়।
বিস্ময়
ঘন অরণ্যের ছায়া মাড়িয়ে
দাঁড়িয়ে আছে স্বপ্ন
দুহাত মেলে ডাকছে প্রকৃতিকে
আসলে মন ভালো করা কোনো
দৃশ্য দেখলে এমন উতলা হয় মন
সেকথা সহজে ভোলা যায় না কিছুতেই
এভাবেই জটিলতা তৈরি হয়
তৈরি হয় জাগতিক বিস্ময়।
আর সেই বিস্ময়ের
হাত ধরে উঠে আসে কবিতা।
Leave a reply