প্রাণ দেবগণকে বললেন, আমার ভেতরে প্রবেশ কর। তাই করলেন তাঁরা। প্রাণই সাম। সুষ্ঠ সুন্দরভাবে উচ্চারিত বর্ণ—সুস্বর। সুস্বরে প্রস্তোতা গাইলেন মন্ত্র —
“অসতাে মা সদগময়।
তমসাে মা জ্যোতির্গময়।
মৃত্যোর্মা অমৃতং গময়।”
একইভাবে কবিতার উচ্চারণও দাবি করে সুস্বরের। তবেই হবে প্রকৃত আস্বাদন। চতুর্থ ব্রাহ্মণ মিথুনােৎপত্তির প্রসঙ্গ নিয়ে আরম্ভ। সৃষ্টির পূর্বে পুরুষরূপী আত্মা—নিজেকে ব্যতীত আর কিছু না দেখে বললেন, আমি আছি। কিন্তু একা থাকাতে আনন্দ নেই। নিজেকে দ্বিধা বিভক্ত করলেন। উৎপন্ন হল ভোগেচ্ছা। এইভাবেই আস্বাদকের নবজন্ম। কবিতার আস্বাদনেই তার পরম প্রাপ্তি।
সম্পাদক শুভদীপ সেনশর্মা, মৌমিতা পাল
Leave a reply