কথা
সাদা আর কালো নয়
ধূসর যেসব স্তর কিংবা জোনাকি জ্বলা রঙিন হৃদয়
ভেদ করে শেষ প্রান্তে ডুব –
কঠিন কি খুব ?
অতন্দ্র পাহারা।
কথা পৌঁছোবার পথও, আপাত আবৃত
বিপদ সীমার নিচে বাস করা যত
থেমে থাকা কথা
সব ভীত…
শুশ্রূষা
বসতি পাহাড় ঘিরে দূরে দূরে বাড়ির মতন
এ প্রান্তে আলো জ্বলে, ও প্রান্তে বুঝে নেয় সুখ
তেমনি আঁধার হলে বিহ্বল বার্তা ভেসে আসে,
ভেসে আসে জোনাকির ঝাঁক।
অন্ধকার ভালো লাগে, জোনাকি আলোয় আরো নরম
প্রার্থনা সঙ্গীত বাজে অনুমান করি আরো দূরে,
চোখ বুজে আসে আর নিজেকেই খুঁজি এ আঁধারে
এত কাছে বসে তবু নাগাল না পাই।
এ পথে, এ প্রান্তরে কত না হেঁটেছি, কত যুগ!
ঘুরে ফিরে সব পথ আসলে যেদিকে মোড় নেয় –
যেতে হয় সেই পথে, যত থাক ঘাত প্রতিঘাত
একেকটা ক্ষতের শেষে নিজেকেই মলম লাগাই
শ্মশান
মৃতদেহ ভরে ভরে থাকে
নদী নালা গাছের শিকড়ে
সহজেই। শ্বাস নিতে নিতে
কখনও নেবার মতো পর্যাপ্ত থাকেনা নিশ্বাস
জন্মানো যতটা কঠিন
মরে যাওয়া ততটা সহজ
আমাদের শ্মশান ভূমিতে
হত্যা
এত মৃত্যু, এত হাহাকার
তারপরও বেশি দরকার
নির্বাচন, সভা সমাবেশ
তারই মধ্যে ধর্ম ধর্ম খেলা
খেলনা ধর্মান্ধ কিছু লোক
নিজেরা জানেনা তারা মানুষ
নাকি শুধু খেলার পুতুল!
সমাবেশ গুনে গুনে দেখি
কত কোটি বেশি হল যেন?
তারপরই অট্টহাসি, দ্যাখো!
“I am monarch of all”
শর্ত
আমি তোমার সকল গতিবিধি, রাখবো আমার নজর বন্দী করে
প্রশ্ন যখন উঠবে তোমার চোখে, “ভালোবাসি” বলবো ভীষণ জোরে!
সেই অধিকার ছাপিয়ে যাবে ঘর, বারান্দা আর বাউন্ডারি দেয়াল
বলবো তবু, রাখছি তোমার খেয়াল, এ সব কিছুই ভালোবাসার প্রকাশ…
মনে হবে, কোথাও কিছু ফাঁকি, মনে হবে ভালোবাসা মৃত
বুঝবে তুমি অন্তরাত্মা তোমার, কিন্তু তুমি অন্যের অধিকৃত
যখন যখন করবে প্রতিবাদ, অপরাধীর তকমা লাগবে গায়ে
তথ্য প্রমাণ প্রেমের ডকুমেন্ট সাঁটবে তোমার মাথা থেকে পায়ে
না পারবে আর গিলতে কিংবা থাকতে, আটকে যাবে নিশ্বাস প্রশ্বাস
ওদিকে রোজ হিসেব নিকেষ হবে,সন্ত্রস্ত তোমার বসবাস
তারচে প্রথম সিগন্যাল যেই পাবে, শুধুই প্রেমের আখ্যান না ভেবে,
লুকিয়ে রাখা আসল অক্ষর
পড়তে শিখো, হিসেব রেখো,
আর
দৃঢ়ই রেখো নিজের গলার স্বর…
Leave a reply