শিস
হাড়ের কোকিলে লেখা এই কুহু
যেন তুমিই ফিরলে
কাচের ঘাগরায় আল। ভ্রমের সুদূর
সন্ধের শুঁড়ে শুঁড়ে হত্যা অব্ধি গলি
পুরোনো তামার ঘরবাড়ি। মেঘ
ডিজেলগন্ধের। মহল্লা ব্রোঞ্জের রাত
সূর্যাস্তফুরোনো দেশ
শিস দেয় জিভের লোহায়
ঝিনুক
রাত্রি পাথর। আমাদের কুকুরগুলোকে ডেকে নিল
হাওয়ার ভল্লুক। আমাদের জিহ্বাসব বালির আরব্য
কাটা নলির সন্ধে। মাংস আর ধুনির ফুরন্ত
আমাদের কুকুরগুলো চিবিয়ে ফেলছে চাঁদ। যোনির ঝিনুক
কম্পাস
কা পর্যন্ত লিখে। কাম! কাগজের সেতু! হামবড়াই করছে নখ
রাতের বেদানা
হাপরও কিছুটা। লোহা ঢালায়ের
শেষে দীর্ঘ সরাই। জেনানা শীতের
কোঁক। পিউকাঁহা। বিয়রগন্ধের
নি। কোনও নিতম্ব নয়। আবছা
কম্পাস। পৃষ্ঠার ফুরোনো নাবিক
চাকার সেগুন ঢেলে শীতের সন্দর্ভ
যেটুকু তরাই
তসবি
পাজামা মেলে এসেছিলাম লাল গানে। সেই অভিশাপ লুকোনো যাচ্ছে না
গান ক্রমে শ্বাসের ফিসফিস
বলছে টিপবোতাম খুলি
বলছে জিভে-জিভে পাচার হোক সিন্দুকের মণি
গান আমার পাঁজরের দাঁড়ে
নক্ষত্রের তসবি গুনছে
মিনা
মনস্তাপ। হালকা পিতলের। বিন্দুবিসর্গহীন স্তনের আবছা
সুতোর একটু নদী। স্মৃতি ফুরোনো
নৌকোর। সওদা বসেছে
রেড়িরতেলের পট। মুজরো করছে
ভাঙা তীর
ছকের দাবায় কেউ। পোড়া মাংসের ঘুঁটি। যাযাবর ঘোড়ার লোহায়। পিঠে হাড়ের বন্দুক
স্তেপ স্তেপ। খাঁখাঁ নিসর্গের ঢেউ
রাতের মাংসে ছুরি। বাঁটে জোনাকিবাজার
Leave a reply