গারুচিরা
চৈত্রের বাতাস আর গারুচিরা সমার্থক –
অভিধান জানে?
এই বনে মনে মনে অনেক ঘুরেছি
এই ভ্রমণের মধ্যে কয়েকটি অর্কিড লুকোনো
তাদের বিস্ময়টুকু হাওয়াবাতাসের মধ্যে
লিখে ঝরে গেছে।
প্রতি চৈত্রে, (দু’একজন জানে) –
নিসর্গ রচনা করে তার এপিটাফ…
মনের ভেতরঘরে ফাল্গুনস্বভাব এলে সেই লেখা জাগে !
রূপং ভ্যালি
ঢালুপথ। উঠি। নামি। আলোবাতাসের
অসীম শুনানি থেকে ক্লান্ত হয়ে উঠে এসে
বিচারক একা বসে থাকে…
সামনে চায়ের কাপ ঠাণ্ডা হয়,
পাগলের গান জাগে গোটা চরাচরে…
বিমূর্ত বানান জাগে অনন্তের আর
অমীমাংসিত এক রোদ আসে বারান্দার কোণে…
স্তব্ধ ও স্থগিত এক মুদ্রার ভেতরে ঢুকে
ঢাকা পড়ে যায় এক জীবনপ্রবাহব্যাপি
বিচারের রায়…
হাতিপোতা
কত গান হাওয়ায় ভেসেছে…
ঝরাপাতা,আলো আর দুর্নিবার হাওয়ার ভেতরে
জেগেছে অমরাবতী
আর দূরে হাতির বৃংহন
আমাদের খালি হাত ভরে গেছে অজানা কুসুমে
এই অভিজ্ঞানটুকু চুপিচুপি রয়ে গেছে চৈত্রলেখাগুচ্ছের ভেতরে…
বালা
চতুর্দিকে রূপের খাজানা।
কবে মরে হেজে যাওয়া অশ্বের সহিস
জেগে ওঠে, ঘোড়া ফিরে পায়
ছোটবড় নুড়ি জড়ো করে
নিজের বহতা নিয়ে নদী কতদূরে বয়ে গেছে…
আজ আবার একা বসে দ্যাখে!
আঠাশ মাইল
তোমার মনের মাপে নস্যির কৌটো তৈরি হয়
যদি বড় করো দাগ, অমর্ত্যকে পাবে…
নাহলে অলীক সব, কুহক, আলেয়া
আলোর গভীর থেকে বহুদূরে থামা অন্ধকার
যেখানে মনের কোনও স্নানঘর নেই…
2 comments on “সুদীপ্ত মাজি”
সুব্রত চৌধুরী
ভালো লাগলো
thealoprithibi
ধন্যবাদ। সঙ্গে থাকবেন আমাদের।