ছায়া
শুনতে পাই পায়ের ছায়া
দরজা খুলে দেখি
হাওয়ার গানে সুর মেলে দেয়
একটি দুটি পাখি
ফুলের গায়ে ঝুলে থাকে
উপভোগের সুগন্ধ
থাকতে যদি কাছাকাছি
হয় কি তা মন্দ?
নদীর উজান বর্ষামুখর
সুপ্ত হৃদয় তপ্ত
দুয়ারে আজ দ্বার খুলেছি
হৃদয় আমার মুক্ত
দাও মেলে দাও
পাখির উড়ান ইচ্ছে ডানা
আকাশনীলে স্বচ্ছতোয়ায়
হারিয়ে যেতে নেই মানা
কাঁচসমগ্র
আমার একলা কাঁচের দৃষ্টিপথ
ঝনঝনিয়ে ভাঙল যখন
তোমার তখন মধ্যরাত
হাতড়ে বেড়াই দৃশ্য খুঁজি
দৃষ্টি খুঁজি বাড়াই দু হাত
নির্জনে কেউ ডাকছে তখন
বুকের মধ্যেও ঘন আঁধার
কেউ নেই তো কে ডাকে আজ
হাত পায়েরই অঙ্গ কোলাজ
ফিরবো তোমার মনভুবনে আবার
আজ অন্ধ বন্ধ পাথার ঠেলে
পিছুটানের মায়া ফেলে
টুকরো কাঁচের দৃশ্য হাওয়া
মিলিয়ে নেবো সমগ্রটা
আদ্যোপান্ত সবুজপত্র পাওয়া
জ্বর
আরোগ্যশালায় এলে মনে পড়ে
প্রিয় বিছানার কথা
পাশবালিশ ও তু্লোর তুল্যমূল্য আরাম
জানালার পাশে মানুষের মুখ
নীল আকাশ বর্ষার অভিমান
সুপুরি গাছের হাওয়া
তোমার হাতের দেওয়া প্রতিষেধক
পানীয় জল
সেবার নিদ্রাহীন রাত
জ্বর বাড়তে বাড়তে
কখন থমকে দাঁড়ায় তাপমানে
ব্যাধির ব্যবস্থাপত্রে তোমারও কুশলতায়
ক্রমে ক্রমে শরীরের রঙ রামধনু হয়
দিবসরজনী
এক চুরচুর সন্ধ্যায়
চোখরাঙানো রাত
সমস্ত জোনাকি কেড়ে নিচ্ছে মৃদু আলো
সাজে না রাতের অভিমান
সে তো মেখে নেবে বিছানার পালিশ
চাঁদের বাড়ি আজ তারায় ভেসে গেল
মুগ্ধ হয়ে ফিরে গেল দিবসরজনী
সূূর্য্যচন্দ্রিমার গৌরবে
আলোয় ভেসেছে দৃশ্যমালা
প্রজন্ম খাক হয়ে আছে
সাজে না আতর পশমের স্নেহ
বৈরাগ্য ছুঁয়ে থাকে অভিজাত পোশাকের বয়ন
বিশুদ্ধ পুরুষ
এখানে আঁধার ছিল
তাই আলোক বিছানা
পৃষ্ঠে ওজন গাঁথা ইচ্ছুক পুরুষ
টেনে আনে ষোড়শীর কায়াভ্রম
ধূলিসাৎ হবে বলে স্বপ্ন চারণ
বৈতালিকে আবিষ্ট বৃন্দরাত কেটে গেল
খানখান চাঁদ মুছে গেল কপালে
এভাবেই নষ্ট হতে হতে খাক্ বিশুদ্ধ পুরুষ
Leave a reply