আমি ও আমার দ্বিপ্রান্তিকতা
আমি স্বপ্ন দেখি আজও। সে স্বপ্নের প্রথম ভাগ দ্বিতীয় ভাগ থাকে
স্বপ্নেরও ঋতুক্রম থাকে, এ কথা ফ্রয়েডসাহেব আমাকে বলেননি
আমি দেখতে পাই সারারাত একটি সরিসৃপ বালতি ভর্তি জলে সাঁতার কেটেছে
ক্রমশ সে বালতির জল ভরে উঠেছে তার লালায়, রক্তে ও বিষ্ঠায়
সকালে দেখামাত্র আমি সেই বালতি উলটিয়ে দিলাম
সরীসৃপের শীতল রক্তবোধ আমার স্বপ্নের প্রথম ধাপ
আধো পায়ে সে হেঁটে চলেছে নালার দিকে
যেন পবিত্রকফিন খুঁজতে বের হয়েছেন এক সৈনিক
সে রাজ্যে বীর্য নেই
নিস্তব্ধতা চূর্ণ করেছে ফুলগুলিকে ফোটার আগেই
আমি সরীসৃপের ফেলে যাওয়া লালা পথ ধরে হেঁটে যাই
বর্বরতা ছাড়া সঙ্গীত হয়
উরুসন্ধিতে ভীড় করা প্রতিটি ধাক্কা
শীতকার হয়ে ওঠা সভ্যতার সুর
আমি স্বপ্ন দেখি আজও। সে স্বপ্নের প্রথম ভাগ দ্বিতীয় ভাগ থাকে
আমি মনোচিকিৎসার খোঁজে ছুটে যাই নর্তকীপাড়ায়
সেখানে দরজা বন্ধ হয়ে আসে
উন্মুক্ত আকাশ আর রঙ্গমঞ্চ জায়মান
ধাপ বেয়ে উঠে আসা নদী
আমি সে নদীকে মুক্ত করবো আজ
আমি হানিবালের মতো চিড়ে দেব রোমের পতাকা
আমি পিতৃহন্তার শোধ তুলে নেব এভাবেই।
এখানে কলকাকলি তাঁত বুনবার শব্দের মতো
মাকুর মতো ধিকধিক জ্বলছে শিখাগুলো
জানলা বন্ধ করে দাও। ওরা নিভে না যায়
ওদের খেলতে দাও। স্লিপে চড়ুক, দোলনায় দুলুক ওরা
আমি ওদের হৃত মাটির ভিতর লুকিয়ে থাকা লাভা
নদীর পূণ্যতোয়া জলে ধুয়ে দেব।
সরীসৃপের মতো লালাঝড়া
আমি বাইপোলার। দ্বিপ্রান্তিকতা ভরা আমার দুচোখ
আমি একসঙ্গে দেখতে চাই মানুষের জয়গান আর মেশিনের ধাতব হুঙ্কার
আমি স্বপ্নে দেখি। স্বপ্নের দুই ভাগ মূর্ত হচ্ছে সেই নির্বিজ রাজন্যর মতো
আমার সে স্বপ্নের দেশ। দেশনায়ক হোক একটি শিশু
শিশুর খেলনার মতো সেজে উঠুক এরোড্রোমগুলো
জল পেয়ে বেড়ে উঠুক মাধবীলতার চাড়া
খেলনাঘরের ভিতর তিড়িতিড়ি নড়ে উঠুক খরগোশগুলো
আমার দ্বিকেন্দ্রিকতা। আমার চিকিৎসার প্রয়োজন
হে মহাকবিতা আমার
আমাকে সুস্থ করে তোলো
আমাকে সুস্থ করে তোলো
আমাকে শুশ্রুষা দাও….
Leave a reply