এই সময়ের পাখিরা
জীবনটা কেমন এডিটে বাদ পড়ে যাওয়া
শত কোটি মুহূর্তের মতো সময়ের পর্দায়, নিজের কোনো নিয়ন্ত্রণ এর বাইরে সারা জীবনে উঠবে না এরম সিনেমার মতো দাগ রেখে যাচ্ছে।
আমরা সবাই অসহায়, নিরুপায়, শত দায়
আলোয়, নিরালায়, একা জানলায়, কেউ অবাক হয়ে, কেউ, ফুঁপিয়ে, কেউ হাউ হাউ করে কেউ, নিজেকে আটকে, খুব চেষ্টা করে একটু হলেও কাঁদছে।।
পৃথিবী কে এমন রোগগ্রস্ত আজন্ম দেখিনি
শত চিতা, তার লেলিহান আগ্রাসনে বয়ামে জমানো
সুখ, পুড়িয়ে উড়িয়ে দিচ্ছে, এই পৃথিবীরই হওয়ায়।
এ গোটা পৃথিবী যেন, শুধু দুঃখের মাধ্যাকর্ষনে সাড়া দিচ্ছে।
স্থায়িত্ব নিজের ভাষা হারিয়েছে, জীবিকা, বাড়ি ফেরা, বেঁচে থাকা,ভালোবাসা সবকিছু, সবকিছু
রোগগস্ত্র।
এ হাওয়া এ বর্তমান, এই সময়ের মাকড়সার জাল
শুধু চলে যাওয়ার ইশারার ইচ্ছে।।
তাও মানুষ হিসাবে আমাদের সবার মধ্যে
একটা phoneix পাখি, বাসা বুনে থাকে।
আমরা ফিরবো, আমরা ফিরবই
নিজের ঘরে, নিজের শান্তির আস্তানায়
আবার সবকিছু, কিছুটা নিজের ইচ্ছামত হবে।
নিয়ম কে, জীবন ভেবে, মেনে, নিজেকে বাঁচাবো
আরো অনেককে বাঁচাবো জেনে
এ জীবন মৃত্যুর খেলায়
আমরা কিন্তু, জিতবই।।
স্ব- অধীনতা
কিসের স্বাধীনতা বলোতো
মনের চিন্তার, তার দাসত্বের
শরীরের ওপরে মনের রাজত্বের
স্বাধীনতা সত্যি বলতে চিরকালই অল্প।
স্বাধীন ভাবে কথা বলা যায়?
কোন দেশে বলোতো
কি কি বলার স্বাধীনতা আছে
সত্যি কথা বললে, আজ তা দেশদ্রোহ।
দেশ, স্বাধীন হয়, দেশবাসীর স্বাধীনতা
সে প্রশ্ন যারা করেছিল, তারা আজ সবাই
হয় কবর বা চিতার সমান, বা জীবিত মৃত
স্বাধীনতা, অনেকসময় তিন রঙে আবৃত।।
জটিলতা
জীবনের চাকচিক্কে
চিন্তার কয়লা।
সে ইচ্ছার-ও এক কলেজ ছিল।
মন চকচকে, জামা ময়লা।।
আলপিন কি কি ফোটায়?
তুমি কি চাও সেই পিনের ডগায়?
আমি জানিনা, আমার হাত কি বাড়িয়েছিল
লাউডগা টা পেঁচিয়ে থাকে
মনের আগা গোড়ায়।।
সব সময় মনে হয়
আমাকে বোঝার জন্য কেউ দাঁড়িয়ে থাকবে
এ কি এক অদ্ভূত রোগ।
আমার জীবন, অন্য কেউ কিভাবে বাঁচবে?
বৃষ্টি পড়ছিল খুব।
মাঝ রাতের বেশ কিছু পরে ঘুমটা
অজান্তে, হাত থেকে পড়ে যাওয়া
কাঁচের পান-পাত্র টা যেভাবে ভেঙেছিল
তার মতো করে।
কবিতার অনেক শব্দ
মনের দাসত্ব স্বীকার করে
লেখায় আসে না।
যেমন করে ওই মৃত দোয়েল টা
আর গান ধরে না।।
আলাপ
কবিতার ক্লান্তিতে
শ্রম বসে খাটে
ভাববে কি একটা লাইন
যখন, হয়তো সূয্যি নামে পাটে।
তারপর দিকভ্রান্ত হয়ে ছুটে আসবে আঁধার।
আর চাঁদের মুখ, দেখার ইচ্ছা হবে শুরু
কেউ এক হাঁটে, কেউ ভাবে অনেকের সাথে
সেটাই হয়তো একা হওয়ার শুরু।।
আল্পনার চাহিদা, তুলির শীতের মাসে
দুঃখের চাহিদা, সুখের থেকে অনেক বেশি হয়তো
অনেক সপ্তাহে, আজ, কাল, পরশু, এক লাগে
ট্রামলাইন ধোরে একা হেঁটে, গন্তব্য পূর্ণগ্রাসে।
আমার বারবার মনে হয়
কবিরা কেন কবিতা লেখে
মানুষের এই বিবিধ জীবনে
কবিতার কি সত্যি প্রয়োজন আছে?
কবিতা হয়তো, এই জীবন গ্রীষ্মের আগ্রাসে
কবিতা, ছায়া-সম বিরাজে
Leave a reply