ক্যানভাস
কেলাসিত ক্যানভাস বেয়ে উঠে আসে কাটা হাত। প্রশমিত হাওয়া কথা বলে উচ্চকিত ভাষায়। প্রদীপ জ্বলছে। তাকে নেভাতে চেষ্টা করে সরে যাওয়া হাতের আড়াল। সন্ধ্যার অন্ধকার নিয়ে আসছে গানের কলরোল। যুবতীর সংগম-স্মৃতি ভাসিয়ে দেয় যাবতীয় সুরের আলপনা। বিশল্যকরণীর খোঁজে দুনিয়া অস্থির; ছোটে বন থেকে বনান্তরে। সূর্যঘড়ির ছায়ায় দুদন্ড বিশ্রামের আশ্বাসে মানুষেরা অগ্রাহ্য করে পথের ইশারা।
ভুবনডাঙা
ভুবনডাঙা।
ছুটে বেড়াচ্ছে অলৌকিক শিশুরা।
সৃষ্টি স্থিতি লয় ভেঙে যুগান্তরের ডাক।
দিক দিগন্তে আলোর প্রথম প্রকাশ।
বিষম আধার থেকে জন্ম নেয় নতুন মানুষ। গুল্মলতার মতো অজস্র উপচারে ভরে যাচ্ছে কুন্ঠিত মানবজীবন।
নবান্ন
ধানের শিষ চারিদিকে।
লাল আকাশ হাতছানি দেয় নিজের নিয়মে। নতুন বাথান ছেড়ে উচ্চকিত বাবুই হানা দিচ্ছে গৃহস্থের ঘরে। হাওয়া এসে বলে যায় নতুন রূপকথা।দিনের প্রান্তভাগে হাটুরের গান। নবান্নের ধান বিকিয়ে যাচ্ছে অনর্থক দামে।
আড়াল
আড়াল খুঁজছি গাছের।
বিক্ষত মন নিয়ে পার করি সন্ধ্যারতির সময়। হাঁড়িমাপা চাল আর সাদা মার্বেলের সংসার বিষ ঢালে নিজস্ব দক্ষতায়। পচা-গলা শরীর আর হৃদয়ের আর্তরব মিলিয়ে যাচ্ছে শীৎকারের গাঢ় অন্ধকারে।
নদীমাতৃক
পাঁজর থেকে বেরোচ্ছে রক্ত।
নদীমাতৃক শরীর গন্ধ খোঁজে প্রথম শিউলির। পাখির উড়ান দেখে মত্ত সবাই। খুঁজছে ডানা। সীমাবদ্ধ শরীরের ডালপালা মেলে ছড়িয়ে দেয় অমেয় কৌতুক। ইন্দ্রিয়তাড়িত দস্তানা ঢেকে দেয় সবটুকু হাতের কারুকাজ।
Leave a reply