যে প্রেম ডিসেম্বরে শুরু হয়
১
কথা নেই
ঠিক এতটাই জড়িয়ে রেখেছো শাল
ঠিক এতটাই
কাছাকাছি
দুজন
তুমি কাছে এলে বুঝি,
শীতকালে প্রেমিকরা হয়ে ওঠে বাবা…
২
কিছু নেই এই রাস্তার উপর
তুমি শাল জড়িয়েছ গাছে
গাছেদের ঠান্ডা লাগে, কাম হয়
ঠান্ডায় গাছেরাও প্রেমিকা হারিয়ে
বসে আছে…
আর তার নীচে আমি জড়িয়ে নিচ্ছি
শতাব্দীপ্রাচীন রোগ
প্রেমিকার যক্ষ্মা…
১৮ এ পা দিয়ে বুঝলাম
এক ঘুম থেকে গভীরতম ঘুমে পড়ে আছি
আমাকে কেউ জাগায়নি
আমার বাবা, ঘুমন্ত দেহের পাশে
ছড়িয়ে গেছে পুষ্পস্তম্ভ
আমার মা ঘুমিয়ে থাকাকালীন
আমার মাথায় লাগিয়ে গেছে
গাঢ় চন্দন
আমায় ঘুম থেকে কেউ তোলেনি
শুধু, একের পর এক ফুল, চন্দনে
আমাকে সুখী করেছে বাবা, মা, পরিবার
আঠেরো বছরে বুঝেছি,
জন্মদিন ঘুম…
গভীরতর আদিম ঘুম!
পেয়ারা
এবং দিনের পর দিন এইভাবে পেয়ারার মতো জীবন কাটে। সবুজ ছুঁয়ে যায় কোনো অতর্কিত রমণী, কামড় দেয় আমার দানাদার মজবুত দেহে। ওটা ঠোঁট হতে পারত, সেই রমণীর দাঁত হতে পারতো তুলতুলে মেঘ। আমাদের মিলন হতে শরৎকাল। তবু নুন মাখানো দেহে শুধুই কর্কশ কামড়, জিভ দিয়ে টানা শরীরের ঝাল। অসময়ের ব্যাবচ্ছেদ…।
ফিরে তাকাও
ফিরে তাকাও
দেখো কী নিষ্ঠুর পদাবলীর মতো
আমার ঠোঁট জুড়ে
শুধু তুমিই…
তোমাকেই আমি কী নিষ্ঠুর তাঁতির মতো
বুনে রেখেছি
দাঁড়িয়ে থেকে দেখে যাও
শহুরে কাকের চেয়ে
ডানা নেওয়া আমি
শুধু নিষ্ঠুরতাই শিখে গেছি…
আমার সংসারে
ধুপ নেই
ফিরে তাকাও…
দরজা
শুধু আসা
আর যাওয়া
কেবল
আসা
যাওয়াই…
তারই মধ্যে বিবস্ত্র, মিলন
নারী আর পুরুষ খেলছে শিশুর মতো!
Leave a reply