পরিক্রমা
এখানে পথ এসে
ঢেকে দেয়
অনন্ত প্রতীক্ষার দ্বার
২.
অস্ত্রহীন ইশারার রোদ?
পিচ্ছিলঘাটের লাভা?
ক্ষতের বাগান ঘুরে শরীর
একে একে গড়ে তোলে
ছাই-এর পাহাড়
৩.
তবে কি নিস্তব্ধ মহুয়ার মতো
বুক জুড়ে গন্ধ ছড়াবে না আর?
তবে কি নাভিমূলে লেগে থাকবে না
বীজমন্ত্রের মগ্নসংগীত?
৪.
বলো শরীর, বলো
এ নক্ষত্রের দেশে
কোথায় লুকিয়ে রেখেছো আমায়?
বীজধর্ম
আয়ুরেখা ঢেকে দেয়
বিষণ্ণ উপত্যাকার সংগীত
মাটি দাও, মাটি;
ঘুমন্ত বীজের দেহে
নিজেকে ঢুকিয়ে ফিরি
স্তব্ধ হই, দেখি
আমাকে জড়িয়ে ধরে
একে একে বাড়ে
ধস ও জন্মব্যাধি
বারুদ
সে দু-হাতে বারুদ বাড়িয়ে দিয়ে বলল
— এই নাও,খাও…
বাকিটুকু সঞ্চয়ে থাক |
তারপর বারুদ খেতে খেতে
আমরা দুজনে
দেখলাম
ভস্মের আশ্চর্য আকাশ !
প্রতীক্ষা
তোমাকে মনে করতে করতে
একদিন
সন্ধ্যাজাহাজ ডুবে গেল
গোপন কান্নার মতো
বিশ্বাস
বিশ্বাসের কোনো ফটোফ্রেম থাকে না
তবুও আঙুলে আঙুল রেখে
হেঁটে হেঁটে যাই
যতক্ষণ আলো বেঁচে থাকে
বুকের ভিতর…
Leave a reply