ভোট
কষ্ট করে একটা কথা ছাপাও তোমরা, একটু খোলো ছদ্মবেশ।
হাজার হাজার প্রহর কাটে অসুখী আর আমাদের সব প্রতীক্ষা শেষ।
শেষ হয় না জীবন, শুধু অশেষ হল একটেরে এই একটা রাত।
যোগাযোগের এই পৃথিবী রসে-বশে কোনদিকে আজ বাড়ায় হাত।
পুষ্পদল আর চাঁদের কলার স্বরূপটুকু গায়ে মাখে অন্য কেউ।
সমুদ্রটার বুক থেকে ওই আছড়ে আছড়ে পড়ছে ঢেউ।
একটুকরো কাপড় থেকে বেরিয়ে পড়ে অসঙ্গত লজ্জা আর
বর্ষাতে বা রোদের তাপে ঘুম ভেঙে যায় আকাশটার।
লম্বাপথে পাড়ি দিয়ে আজও এসে পৌঁছয়নি একটা দানা।
হা-পিত্যেশ বৃথাই গেল মুখ থুবড়ে পড়ে থাকা পাখির ছানার।
পাহাড় থেকে গড়িয়ে নামে একটা বিশাল কালো ছায়া, হয়তো ধীর।
সহনশীলের সীমার শেষে হয়তো বা এই সময়ও নয় অশান্তির।
আসন্ন এই ভোটের মুখে একমুহূর্তে দূর হয়ে যায় ভ্রান্তিটাই –
কোনো সরকার আর চাই না আমরা, আমরা একটু শান্তি চাই।
শতজল
ঝর্না সেই আন্দোলন ঝঙ্কার বা ক্রম
পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ে সাগরসঙ্গম
পাথরে মুখ ঘষটে দ্যায় রাতে জড়ায় বুকে
আকাশ থেকে উচ্চারিত অজানা বন্ধুকে
অন্ধকারে তারার সঙ্গে কাঁপে কি ভারী ঠোঁট
রাস্তাটুকু দেখাতে চায় ব্যথার সেই চোট
নারীটি প্রায় অসম্ভব পর্ণ নয় নর
রাত্রিশেষে কাঁটাচামচে কামনা তোলে ঝড়
বাতাসে বাড়ে নির্জনতা অধীর আগ্রহে
কানের কাছে ফিসফিসিয়ে শুনিয়ে দ্যায়, \’ওহে,
মন্দ কিছু ছিল হয়তো ছিল-ও কিছু ভালো।\’
মোষের পিঠে বসে হাসছে রাখাল এক বালক
একশো জলের শব্দ আজ হাজারো সংশয়ঃ
ঝর্না শুধু মেয়ের নাম, আন্দোলন নয়?
ধমসা
চাঁদের আবছা আলোতেও সব লাগছে খুব চেনা
তুমি ধমসা বাজাবে না
তুমি কেঁদরি বাজাবে না?
ঝোপজঙ্গলকে ছিঁড়ে ছুটে বেরিয়ে আসে যারা
কালো পিঁপড়েদের সারি নাকি ছিটকে পড়া ধারা
বুরু পাহাড় ভেঙে শেষে
সরু ডহরে ফিরে এসে
কড়া মহুল-ভেজা ঠোঁটে
ওরা সেরেঞ গেয়ে ওঠে
ঝিকমিকিয়ে ওঠে দাঁত হিমঠাণ্ডা শাদা বালি
একহাজার হাতে ধরা বাঁকা চাঁদের যত ফালি
সেই আবছা আলোতেই বোল তুলব তাহারেনা
তুমি ধমসা বাজাবে না
তুমি কেঁদরি বাজাবে না?
স্ত্রীলিঙ্গ
স্ত্রীলিঙ্গ বলে কি কিছু নেই?
কুয়াশায় চাঁদের পিছনে
দৃশ্যহীন এই যে ভূমিকা,
এখানে বলো না, তুমি কার?
অন্ধকার আকাশে নিঃসাড়
হয়ে পড়ে আছে চুলচেরা
বাস্তবতা, তবুও ফেরার
অন্ধ তুমি; তুমি তো শিষ্যাই।
বাতাসে নিশ্বাস আমাদের
হয়তো-বা রাত্রিকে থামাবে।
অযোনিজ রাত্রির সমীহ
তৈরি করে বর্গা জমি ওর।
দিনরাত্রি ক্ষুদ্রের জটলা।
নগ্নতার চর্চা করি আর
আমরাও হয়তো মরিয়াঃ
এসো না, রাত্রিকে বদলাই।
কথা
এই বয়সে ক্রমেই বাড়ে তারার ঝিকিমিকি।
একটা কথা বলার ছিল। বলতে পেরেছি কি?
4 comments on “অপ্রকাশিত কবিতাগুচ্ছ – বিমান মাহাতো”
Unknown
অনবদ্য প্রতিটি কবিতা। এই অসামান্য ছন্দবোধ নিয়ে কী বলি। মুগ্ধ মুগ্ধ
Mandira Ghosh
খুব ভালো লাগলো ।
Avijit Dutta
অসামান্য।
Avijit Dutta
অসামান্য।