সাপ কেন লাফ দ্যায় পাপের গভীরে
চাপ চাপ অপরাধ পদচিহ্ন হায়
নষ্ট সম্পর্কের পায় আলতা পরায়
চর্যার নদী, ভুসুক, দাঁড় বাও ধীরে
রক্তের পাপ নেচে নেচে আসিতেছে
কেঁদোনা মা, লখাই ভেলায় ভাসিতেছে
রামপ্রসাদী সুরমা প্রকৃতিপরমা
বল বল মা, অধমের গতি কিবা
হৃদি পরে তোর দাঁড়ায়ে বাঘারু শিবা
করেছিস কি পাপীরে তুই ক্ষমা
ওমা, উমা, দেখা দে নয় টাকা
কালঘুর্ণিতে ঘুরিতেছে কৃষ্ণচাকা
তোর অবাধ্য কলুর বলদ আমি
পাথর গড়ায় দেখ উঠি আর নামি
পোড়া দেশ
সব শেষ, চারিদিকে খল, তুই
কথা বল, পোড়া দেশ
পুড়ে পুড়ে, তীক্ষ্ণ ছোরা, ভোতা
রাত-বিরেতে, জোরে জোরে গোঁতা
ভাঙছে হৃদি, গড়ছে গদি
শক্ত গদি, ভাঙে যদি
পড়ছে গাছ, পড়ছে পাখি
আমরা পাখির, মাংস খাব নাকি
মোহর ঘড়া, কেবল জরা, আর্তরব
দিচ্ছে ঢব, ধরায় আগুন ধরা
শুষ্ক ধরা, কেবল ক্ষরা, নদীতে
চরা, আঁচল সরা, বিড়ি ধরা
জ্বলছে চোখ, অপলক, পুড়ছে
হাড়, পুড়ছে বাতি, ফাটছে ছাতি
বেশ বেশ, নিরুদ্দেশ, লাশের
দেশ, সব শেষ, শব শেষ !
অন্ধজন
ও মেয়ে, বৃক্ষস্তনমাঝে তুমি দুঃখ লুকিয়ে রাখো
ফোঁটা ফোঁটা জোনাকতারা খোঁপার ফাঁকে আঁকো
বিনুনি তোর বস্তিদেশ ছুঁয়ে আছে আনমোনা
ইকিরমিকিরচামচিকির ডাক পাড়ে অবিরত
কষ্টগুলো ম্যানহোলে এলোমেলো সাপ হত
ভ্রূণের গোঁঙানি আকাশে বাতাসে যায় শোনা
পাণ্ডুলিপি পাণ্ডে থাকে চারপাশে সব গাণ্ডু
গাণ্ডীব তার লক্ষ্যভেদী বিড়ালের ম্যাও বাঘে
ফল পড়ে, বীর্য পড়ে উৎস সবই বাণ্ডু
শীত, সে তো যায় না এক মাঘে
দয়ালবাবা, বেহুলার ঘুঙুরে তুমি কাঁদো
যুগে যুগে জন্ম নেবে লখিন্দর, চাঁদও
এরপরও অন্ধজন রোদচশমা পরে
হাটে বসে পূণ্য-পাপ ব্যাচে এক দরে
One comment on “কবিতা : স্নেহাশিস রায়”
ছায়ারোদ
কবি স্নেহাশিস রায়ের কবিতা উত্তরাধুনিক কবিতার চমৎকার দৃষ্টান্ত।