দুঃস্বপ্নে কুড়ব তোমাকে
একটা নির্জন গাছ মধু ডিঙিয়ে
জমে ওঠে
একটা ভাল লাগা রাত হয়ে ওঠে
মুখস্থ রেশম
শংসাপত্রের চিবুক বেয়ে গড়িয়ে পড়ে
জল
বয়সের কাছে কাছে পড়শি পেতে রাখে
অতিবর্ষণ চুম্বক
মাখামাখি অঞ্চল ক্রিয়াবিশেষণে ধুয়ে গেলে
দুঃস্বপ্নে কুড়ব তোমাকে
আর ধারালো বায়স্কোপের কাছে গেলে এলোমেলো
হয়ে যায় ফুসফুস; মাথা ভর্তি কুসুম ক্লান্তি ভিতু মাংসের
দোয়াতে চুবিয়ে নিচ্ছে ভাঙা পালকের অক্ষর পুচ্ছ।
মন্ত্রের মতো কে এতো অরণ্য বিছিয়ে দিল।
মোরগের ঝুঁটি জাগিয়ে দেয় ভোরের পৌষ।
গম গম বজ্রপাত এঁকে দেয় মধ্যাহ্ন।
দুরসম্পর্কের চুম্বন ধ্বংস করছে বাঘিনীর বয়স।
ফুলের ভূষণ খুলে কুঁড়ি যেন স্বরচিত ইশারা হয়ে আছে।
ভাঙা বিস্কুট আর জ্যোৎস্না চা
এ শরীর ভাঁজ করে তুলে রাখো রাত
দু’পেয়ে গদ্য জীবন নূপুরের পিছনে ছোটে
বিরাম চিহ্নের ছায়ায় ঘুমায় হা-পদ প্রজাপতি
ব্রেইল ছুঁয়ে চুইয়ে আসে বিকেলের লাল ত্বক
স্মৃতি মানেই রেলিংয়ের তিনকোনা অন্ধকার
অনেক না কেটে হ্যাঁ-এর জল রং
বাস্তু মতের ঘরে উদ্বাহু বুদ্ধের আহ্লাদি অশন।
আকরিক হয়ে গেছে ভাঙা বিস্কুট, জ্যোৎস্না চা
ট্রিম হয়ে যায় বাঘের বয়স সিংহের লাফ
ইজিচেয়ারের তলপেট বাড়ে। অলস ঝোপের নীচে
টিয়া পাখি তার ঠোঁট ফেলে চলে গেছে শ্রীহীন,
শহরে বেড়ে গেছে ট্র্যাফিকের থার্মোমিটার
জ্বরের চেহারা নিয়ে খুলে আছে দোকানের চোয়াল
দু’-এক ইঞ্চি মেঘ ফিসফিস করে পিছনের বেঞ্চে বসা
যেন ছেঁড়া খাতা পেন। অসংখ্য জোনাকি তবু বেঁচে আছে
অসংখ্য অভ্যাসও বৈধতা পায়। কোমরজলের ভিতর
একফোঁটা পিছুডাক ভিজিয়ে দিয়ে যায় ঘুমের মোহর।
আর্দ্রতা জনিত স্বস্তি থাকবে— তিন
জীবন তো যুক্তাক্ষর
এক স্বর বর্ণের শেষে এসে একা হয়ে যায়
স্বপ্নময় খরগোশ অধ্যায় ঘেঁটে একদিন তুলে এনেছিল
কচি ঘাসে আতিথ্য। নখের খুব কাছে একটা তাপমাত্রা
পেড়িয়ে যেত সীমান্তের দাগ পেনসিল। উষ্ণ হয়ে উঠত
কাচের চিড়। মিটার বেড়ে যেত রাতের বালিশে। কব্জির
মধ্যবিত্তে জেগে উঠত প্রজ্বলিত দ্বীপ। এখন ঘুমায় সিলিং
ঢালু চামড়ার নীচে। তবু ক্লিপে ঝোলানো এক সাহসী বট
বকেয়া হেমন্তের ছায়া হয়ে ওঠে। কাকতালীয় অন্ধকারে
কাঁপে যুগনদ্ধ থরথর। ধানের তৃপ্তি থেকে ঝরে পড়ে পাগল
রবাব। দুপুরের রসিদ কেটে বাড়িগুলো ঘুমোতে গেলে
সিংহের ভাব সম্প্রসারণে কেমন এতে গন্ধপুষ্পে ছড়িয়ে যায়।
One comment on “কবিতা : শান্তনু দাস”
ছায়ারোদ
কবি শান্তনু দাসের কবিতা শরীরের ভিতরে বিরামচিহ্নের কচি ঘাস।