আমি এভাবেই বলব আমাকে ফিরিয়ে নেবার কেউ নেই
পৃথিবীর সব সভ্য ইতরের গর্ভে লুকিয়ে আছে মাদকতা
নেশায় বিভোর হয়ে গেলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইতিহাস
এক একটা আমি কে লিখে ফেলে
জ্যামিতিক বিন্যাস
রাত শেষ হলে ভালোবাসা ভালো
হিসেবি ভালোবাসার ভেতর বসে আছে ঘুনপোকা
এক একটা শরীর কাটতে কাটতে যখন ভেঙে পড়ে শিরদাঁড়া
চোখ দুটো ধূর্ত শেয়ালের মত গর্ত খোঁড়ে
গর্ত খোঁড়ে যেন এক জ্যামিতিক বিন্যাস
প্রতিশ্রুতি
যার কখনো শেষ লাইন লেখা হয়ে ওঠেনি
তার কাছে রেখে আসি গোলাপ।
গোলাপের মৃদু গন্ধে মেশানো আছে এক গভীর ষড়যন্ত্র।
ইতিহাসবিদরা বলেন, বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে একটি করে গোলাপ দাও,
পৃথিবী একদিন ভালোবাসার কাছে মাথা নত করবেই।
খোঁজ
হিংস্রতা সরে গেলে এক টুকরো আপেল খেতে দিও
মানুষের ভালোবাসার ভেতর তাক করে বসে আছে এক একটা শকুন
মুখ ও মুখোশ এর আড়াল হলেও হয়তো হয়ে উঠতে পারে এক একজন যোদ্ধা
এখন কুয়াশা কাটিয়ে চোখে চোখ রেখে দরকার প্রকৃত মানুষ খোঁজা
প্রতি কবিতা
ঈশ্বর মরে গেলে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারো
লাল রং কাদায় ঘুমোতে শিখেছে
আমাদের দেহ জুড়ে বড় বড় ঢেউ, দীর্ঘশ্বাস আছড়ে পড়ছে
প্রেত আলোর পিচ্ছিল পথে
বাতাস মরচের দাগ শুকিয়ে নিলে
নিজেদের ইস্পাত ভাবতে পারো
3 comments on “কবিতা : উদয়ার্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়”
অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
ভালো লাগল
বিকাশ গায়েন
ভাল লাগলো
Shirsha Mondal
ভালো লাগল