একান্ত আগামীর পথে হেঁটে যাওয়া
একটি মানুষ
একা নয়
সে অশক্ত মাকে তুলে নিয়েছে কোলে
আর তার চারদিকে অপার্থিব আলো
এ আলো ছুঁয়ে দিক
শরীর আমার
পবিত্র অসুখে আমি ভুগি
ভুগে ভুগে প্রাণ পাই
স্বপ্ন পাই ঘুমিয়ে থাকা
সজীব উল্লাস পাই
মল্লার বাজুক আজ বাতাসের
কোল ঘেঁষে
প্রগাঢ় উষ্ণতায়
পরিযায়ী
ঘুমের দেশে চলে গেল আজ যারা
যারা চলে গেল চিরতরে মাটি ছেড়ে
তাদের জন্য শোকপ্রস্তাব লিখে রাখা
হয়ত ততটা বাঞ্ছনীয় নয়
তাদের জন্য বরাদ্দ কিছু রুটি
তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে ঘুম
পাথরে পাথরে ক্ষয়ে যাওয়া দুটি পা
আর রাখা থাকে নষ্ট স্বপ্নের কিছু রাত
শনশন এই পাতা ঝরাদের দলে
আরও কিছু নাম যোগ করা হল বেশ
পরিযায়ীদের মৃত্যু ঘটেছে আগেই
এ মৃত্যু তো শুধু সংশয় সমাধান
অজান্তে
তোমাকে দেখলে আমার মায়ের কথা মনে পড়ে
মনে পড়ে এ মুখ মায়ের
এ চলা মায়ের
এ অম্লান ঢেউ মা-কে ডেকে নিয়ে নিলো
তোমাকে আমার মা বলে ডাকতে ইচ্ছা হয়
ছবিতে দেখা ফ্রকপরা কিশোরী মা আমার
গোপনতাগুলি
পাখির সঙ্গে থাকতে থাকতে
মানুষও পাখি হয়ে যায়
মাতৃশোকের ভেতর থাকতে থাকতে
মানুষরা মাতৃশোক হয়ে যায়
বারবার শ্মশানযাত্রায় যেতে যেতে
মৃত্যুর কথা ভুলে যাওয়া মানুষের সঙ্গে
বহুবার দেখা হয়েছে আমার
গুঁড়োগুঁড়ো একা নিয়ে থাকতে থাকতে
কেউ কেউ হয়ে যায় মুখর নীরবতা
প্রণম্য জল
জলকে প্রকৃত বন্ধু ভেবো তুমি
অনেক মন্ত্রোচ্চারণের ফাঁকে তুমি মনে
জললে রেখো। জল তোমাকে সারাজীবন আলো দিয়ে যাবে। প্রাণ যেন জলে মিশে থাকে। তুমি যখন কোনওকিছু দেখে মুগ্ধ হও তখনও তোমার পাশে থাকে জল
কোটি কোটি বছর থেকেই সে তোমার
অভিভূত কণ্ঠস্বরে সাড়া দিয়েছে
সে তোমার প্রপিতামহ
তাকে তুমি প্রণাম জানিয়ে রেখো
সে এক সুখের দিন
অসুখে পড়েনি যারা যাদের আগে
কখনও বিষস্ফোট হয় নি
তারা তো বুঝবে না
অসুখে পড়লে কত রোগ সেরে যায়
কয়েদখানায় আলো এসে পড়ে
ঘুরতে যায় কত মহামারি বিকেল
মুখগুলো ভোর ভোর আলো
অসুখ বিদায় নেবার আগে
এইসব দেখে নিতে হয়
অসুখ ফুরিয়ে গেলে
সহসা জোছনাও ফিকে হতে পারে
Leave a reply