আকাশ
আংশিক মেঘলা থাকা ভালো, হাওয়ার উত্তাপ
পাওয়া যায়। ও বিমূর্ত কয়েন, বয়ে যাও
স্বপ্নের পাশ দিয়ে। অর্ধক্ষয়িত এই সুরভিখণ্ডকে
দ্যাখো; গভীর থেকে উঠে আসা সাইরেন
থামছে না। নীল একটা ঘোড়া শুধু
হাহাকারধ্বণি লুকাচ্ছে; তার অস্ফুট
ক্রন্দন বেয়ে নেমে যাচ্ছে তুমুল বিষাদ।
তোমাকে
ক্যামেরা ধরতে পারেনি তোমাকে, ছবিগুলো…
চশমায় লেগে আছে অদ্ভূত স্নিগ্ধতা
যা তোমার হৃদয় থেকে উৎসারিত।
জুলাইয়ের কোনও এক সকালে
আমি জন্ম নিলাম শব্দ থেকে
আর আমার সামনে উন্মেচিত হল
পৃথিবীর প্রবেশদ্বার।
তোমাকে, পুনর্বার
এভাবে বোঝানো যাবে না সবকিছু
যতোটা দেখতে পাচ্ছো, আনন্দ
তা কেবলই আমাদের মধ্যকার
রঙিন বিভেদপর্দা।
মানতে হবে, বিশ্বাস রাখার মতো
কোনও মেশিন এখনও তৈরি হয়নি।
তুমি তো মেশিন নও-
পর্দার ওপাশে একটি রঙিন প্রজাপতি!
টান দিলে খুলে আসে চোখের পালক,
তবু কোলাহল বাড়ে
দৃশ্যজুড়ে।
তোমাকে পাই না বলে
ভীষণ মাথা ধরে
ঝিমঝিম করে!
হাসতে হাসতে মরে যাবো
আমি বোধয় হাসতে হাসতে মরে যাবো।
উজ্জ্বল আমার হাসি
তার শব্দ অশান্ত। যা কিছু আমি দেখি
চারিদিকে- চোখ বড় হয়ে যায়- ছানাবানা!
হাসি পায় আনন্দে
হাসি পায় কান্নায়; যখন
হাসাহাসি অন্যায়।
আমি তখনও হাসতে থাকি, মনে হয়
আমি বোধয় হাসতে হাসতেই মরে যাবো।
আমি কি শিশু রয়ে যাবো? বাড়ছে না বয়স!
অবাক হচ্ছি আর দাঁত বের করছি খুব।
আমার মৃত্যু হ’লে
দেখবে খুব হাসছি;
তখন
একটা ছবি তুলে রেখো।
5 comments on “কবিতা : সাম্য রাইয়ান”
Shoyeb Mahmud ( সোয়েব মাহমুদ)
সাম্য রাইয়ান – একটা হাসতে হাসতে মরে যাবার মতন
সাম্য রাইয়ান
জগৎ একটা হাস্যকর পেয়ারা ফলের গল্প৷
Unknown
<3
জিললুর রহমান
সবগুলো কবিতাই সুন্দর লাগলো। বিশেষ করে মৃত্যুর সময় হাসা এবং ছবি তোলার প্রসঙ্গ আমার এই মুহূর্তের মানসিক অবস্থায় কারণে হয়তো বেশ আকীর্ণ করেছে
বলবো না
কিইইইই হাইস্যকর। হি হি হি হি হি হি হা হা হা হা হা হা