বিভাব ও অন্যান্য
১
কেউ একটা উষ্ণ প্রেমের জন্ম দিলে সমস্ত সকালটা মনে হয় রোদবালিকা, আর নেচে নেচে শিখিয়ে দেয় মাটি গন্ধের বাউল সম্রাট। এই বাউলের একতারায় দু\’হাত তুলে পা মেলায় মদবাতাস।
সাবধান হয়ে দাঁড়ালে সারিসারি আম গাছ দু\’চক্ষু তাঁকায় মোমের মতো স্নেহ, গলে গলে পড়ে আইসক্রিমের মতো, আমি চেটে পুটে খাই। কেউ হাত পাতে যদি পায় কিছু সশরীরে…
কেউ পুরু অহংকার তুলে ধরছে অথবা দু-একটি পিছুটান…
২
অযথা চিন্তার কিছু নেই। এই যে তুমি আমি দিব্যি আছি এক আকাশের নিচেই। এতো নালিশ আর ভাল্লাগেনা। শুধু মিছিমিছি জলতরঙ্গ বায়না।
চলো ঘনঘোর মেঘতৃষ্ণা ছিটিয়ে দিই সবখানে। খিলখিল স্রোতেরা দীর্ঘ সময় ধরে বয়ে যাক গভীরে এঁকেবেঁকে। ফিনিক দিয়ে বেরিয়ে আসছে ঢেউঘুম…
মেঠোপথ খুঁটে খুঁটে রাখছে ঝুড়িতে চরণের অন্ধবিড়াল…
৩
কিছু একটা করা দরকার এই বিপন্ন কালে। যেন অভিমান আঙুল তুলে না তাঁকায় মুখে মুখে। সন্দেহবাতিক হয়ে উঠলে মধ্যগগনের উপস্থিতিতে পৌঁছানো যায় না। কতগুলো গার্হস্থ্য বর্ষা তোমার উঠতি যৌবনে ভর করে আছে।
আজকাল কাঁধের কাছে অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য ঘোরাফেরা করে। কখনোবা আহত পাখির হৃদয় মোচড় দেয়। এইসব ভাবনার গুহায় বাঘের হুংকার প্রতিপদে রক্তের পিদিম জ্বেলে বসে থাকে
আর মলিনতার রুক্ষতায় হো হো হাসির স্ক্রিনশটে কঠোরতা উঁকি দেয় পুচ্ছ নেড়ে…
৪
ব্যবহৃত হয়ে আছো সাবধানে সাধারণে, টুকটাক লেখালেখি হয়েছে ততোধিক ধারালো রূপকথায়। কে যেন সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে তোমাকে জেনেছে অবিরল দক্ষিণা বাতাসে। হাহুতাশ করে কত মৌচাক বাঁধলো প্রেমে–অপ্রেমে। কেটে গেছে অন্ধগলির স্বজন পোষিত বজ্র বিদ্যুৎ…
চাহনিতে তর্জনীর কাজল মেখে দেখে নিচ্ছে দুঃশাসন, কেউ কি চুপিচুপি সিংহঘ্রাণের দীর্ঘ স্বর ফলিয়েছে। স্বয়ং শাষিত অধিকারে চন্দ্রগ্রহণে কারফিউ জারি। এখানে চারণভূমি ক্ষয়িষ্ণু বিন্যাস গড়ে বিভেদ রচনায়…
এইসব ভোঁতা প্রজার গ্লাসে দুঃস্বপ্নের পেগ ছাড়াও সিকি পয়সার ফুটপাত নিরাময়…
৫
নিশীথ নোঙর ঘনিয়ে এলো নাভিতে। পঞ্চাশ শতাংশ অবিশ্বাস বুদবুদ তোলে নিংড়ানো হৃদয়ে। কি রকম বিদ্যুৎময় আবেগ ঝড় তুলেছে সতর্কবার্তায়। আর আকাশকুসুম দিওনা খোঁপায় গুঁজে। আমি শেষে হেস্তনেস্ত চাঁদডুবি…
শীতল পবিত্রতায় অমীমাংসিত রশ্মিটুকু সাক্ষী সন্ধি প্রস্তাবে। ভাবি এই দুর্দশা সেলাইয়ের সওদাগর নেই। জং সারাবার বিষদাঁত জটিল সংশয়ে
আমি জোনাকির আলো ছিটিয়ে দিয়ে সবখানে, বিষাক্ত করে তুলছি ধীরে ধীরে ঘুটঘুটে অন্ধকারের অপার জীবন।
3 comments on “কবিতা : বঙ্কিম কুমার বর্মণ”
Unknown
ভালো লাগলো বন্ধু
Taimur Khan
খুব ভালো হয়েছে
Robin Basu
খুব ভালো লাগলো