গ্রিক কবি অদিসিয়াস এলিটিস ১৯৭৯ সালে নোবেল পুরস্কার পান। আধুনিক গ্রিক সাহিত্যের অন্যতম জনক বলা হয় তাঁকে। তাঁর বিভিন্ন কবিতার বই থেকে এই বইয়ের কবিতা অনুবাদ করা হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শুভদীপ সেনশর্মা।
কবিতার জন্ম হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধেরএকাধিক পত্রিকার হাত ধরে, যার মধ্যে একটি পত্রিকার নাম কল্লোল (১৯২৩)। এই পত্রিকায় একদিকে যেমন মোহিতলাল মজুমদার, নজরুল ইসলামের মতো পূর্ববর্তী কবিরা লিখেছেন, তেমনি, এর হাত ধরে উঠে এসেছেন বেশ কয়েকজন নতুন কবি যেমন জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, অমিয় চক্রবর্তী, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রমুখ। এই পত্রিকার কিছু বছর পরে প্রকাশিত আরো কয়েকটি পত্রিকা অর্থাৎকালিকলম, বুদ্ধদেব বসু ও অজিত দত্ত সম্পাদিত প্রগতি (১৯২৭), সুধীন্দ্রনাথ দত্ত সম্পাদিত পরিচয় (১৯৩১), সঞ্জয় ভট্টাচার্য সম্পাদিত পূর্বাশা (বৈশাখ, ১৩৩৯ বং) এবং অবশ্যই বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা (১৯৩৫) আধুনিক বাংলা কবিতাকে এগিয়ে নিয়ে গেছে। দীপ্তি ত্রিপাঠী, আবু সৈয়দ আইয়ুবের মতো সমালোচকরা আধুনিক বাংলা কবিতার জন্মলগ্ন হিসেবে তিনের দশককেই চিহ্নিত করেছেন এবং এই নিবন্ধের লেখকের মতেও এঁদের যুক্তিকে সমর্থন না করার কোনও কারণ নেই। বাংলা আধুনিক কবিতার প্রতিনিধিস্থানীয় কবিরা যেমন জীবনানন্দ দাশ, বুদ্ধদেব বসু, অমিয় চক্রবর্তী, সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, বিষ্ণু দে- এঁরা সবাই এই সময়েই উঠে এসেছেন, তিনের দশককেই আধুনিক বাংলা কবিতার জন্মলগ্ন হিসেবে চিহ্নিত করা যথোপযুক্ত। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শুদ্ধেন্দু চক্রবর্তী।
আশির দশকের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি, প্রাবন্ধিক ও ঔপন্যাসিক সংযম পাল। আদ্যন্ত না-রোম্যান্টিক এই কবি কবিতার এই গ্রন্থে আঙুল রাখতে চেয়েছেন প্রেমের নাভিমূলে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মৌমিতা পাল। নামাঙ্কণ শুভদীপ সেনশর্মা।
নসিম শফি (জন্ম ১৯৫২) আধুনিক কাশ্মীরি সাহিত্যে একজন উল্লেখযােগ্য নারীবাদী কবি। তিনি প্রথম কাশ্মীরি মহিলা যিনি ২০১১ সালে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। কাশ্মীরের ঝাক্ষুব্ধ পরিস্থিতি থেকে শুরু করে বহুবিধ বিষয় নিয়ে তিনি লেখালিখি করেছেন। শ্রীনগরে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে কবি জন্মগ্রহণ করেন। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাশ্মীরি ভাষা ও সাহিত্যে তিনি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে পেশা হিসেবে বেছে নেন অধ্যাপনা। লেখালিখি করেছেন কাশ্মীরি ভাষায়। প্রসঙ্গত জম্মু ও কাশ্মীরে যে ভাষাগুলি প্রচলিত তা হল ডােগরি (প্রধানত জম্মু অঞ্চলে) কাশ্মীরি (কাশ্মীর উপত্যকায়)। এছাড়া হিন্দি, উর্দু ও ইংরেজিও রয়েছে। কাশ্মীরি বা কশুর ভাষা ইন্দো-আর্য ভাষাগুলির মধ্যে ডার্ডিক উপভাগের অন্তর্ভুক্ত। আফগানিস্তানের পূর্বভাগ, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখােয়া ও উত্তর পাকিস্তানের গিলগিট বাল্টিস্তান প্রদেশে এই ডার্ডিক ভাষা প্রচলিত। কাশ্মীরের সত্তর লক্ষ মানুষ কাশ্মীরি ভাষায় কথা বলে থাকে। এই ভাষা লিখিত হয় শারদা, দেবনাগরী এবং বর্তমানে পাসো-অ্যারাবিক লিপিতে।
ছয়ের দশক অন্যতম ব্যাতিক্রমী কবিদের একজন হলেন সুশীল ভৌমিক। বসবাস করতেন বহরমপুরে। তাঁর এই বই প্রথম প্রকাশ পায় ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে। আলোপৃথিবী এই বইমেলায় নতুন পরিবর্ধিত মুদ্রণ প্রকাশ করল। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন শুভদীপ সেনশর্মা।