তিনটি কবিতা
১.
দেহ থেকে খসে পড়ে চামড়ার কুণ্ডলী
ক্রমশ লালচে হয়ে আসে ক্ষত ।
এইসব ক্ষতের গায়ে
বোরোলিন দিলে কেঁদে ওঠে সমস্ত শরীর।
সব ক্ষত সেরে যাবে শরীরের
সব যন্ত্রণা মলিন হবে
অথচ যে চামড়ার কুণ্ডলী পাকিয়ে ছিড়ে দিয়েছি
অবশিষ্ট শরীরের মেদ ভেবে –
সেখানে থেকে যাবে দাগ জীবাশ্মের মত । জীবনে।
২.
একটা সকাল এসে দাঁড়াতে পারে আমার উঠোনে
একটা দুপুর আরও জেগে ওঠে ছাদে
একটা বিকেল হেঁটে যায় আমার সাথে। মাঠে মাঠে ।
একটা রাত চুপ করে ফিরে যায় নিরুদ্দেশের পথে ।
অথচ
আমি সহজেই পেরিয়ে আসি সময় ।
মুহূর্তের কাছে বসতে চাইলেও কেন পারিনা ?
আমার কী আর একটু সময় প্রয়োজন ছিল !
৩.
একটা ঘুমের মধ্যে ধরো আমি নেই
আমার দেহ পড়ে আছি একটা মসজিদের পাশে ।
শ্মশান যাত্রীরা কোনো একজনের পিতার মুখাগ্নি করে
বাড়ি ফিরছিল এই পথে …
ওদের হরিনামের আওয়াজে
আমার দেহটা কবর দেবার অনুরোধ
কেউ শুনতে পেল না। চলে গেল ওরা ।
একটা রাত চুপ করে বসে আছি কবরের পাশে
মুখ আর চেহারাটা ক্রমে হলুদ হয়ে আসছে
ভোরের নামাজ শুনে টলতে টলতে
শ্মশান থেকে এই পথে ফিরছিল একটা ডোম
ওর হাত থেকে পড়ে যাওয়া কলসি ভাঙার শব্দে
ঘুম থেকে উঠে দেখি আমি নেই ।
কবরের মাটি ভিজে …
2 comments on “কবিতা : সুমিত মণ্ডল”
Unknown
লাইন গুলো খুব সুন্দর,মন ছুঁয়ে গেলো।
ভবানী শংকর চক্রবর্তী
সুমিত, খুব সুন্দর কবিতা তিনটি। শেষের টা একটু এডিট করে নিলে ভালো হয়।