এক
মুখের মধ্যে এসে পড়ে আয়ত বারান্দার ছায়া
এই অর্ধেক ঘর আর অর্ধেক বাইরের বাঁকা আলো
জংগলের ডাক শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ে
ছায়ার একটি নিজস্ব সুর আছে
দুরুদুরু আছে
যেখানে জংগলের পাখিরা ধূসর ওড়ায়
আমি আক্রান্ত হতে থাকি বারবার!
দুই
আবার সেই জংগলেই ফেরা যাক
আসলে জংগল মানেতো সেই গোছানো
কিংবা অগোছালো নিজের বাগান
যেখানে বাঘ ভাল্লুক বাইসন নতুবা
বেড়াল অথবা সাপের ভেতর অবগাহন
এ এক অনিবার্য অমৃত
এ এক অনিবার্য বিষ
মাঝরাতে পেঁচা ও মহার্ঘ বাদুড়ের সাথে ওড়াউড়ি
পাপের খোলসের ভেতরে নিজেকে অন্তহৃত করে
সাপলুডো খেলা!
তিন
নিজের জংগল দিয়ে গর্ত খুঁড়ে ফেলি
ডালপালা ঘাস নদী মাঠ ও আঁশবটি
কুয়াশা মাখিয়ে বেশ কিছু রাঙাপথ
ঢেলে দেই তাতে
তারপর নিজেকে বৃষ্টিতে রেখে
বলি \’শেয়ার করো শেয়ার করো\’ !
চার
বরং চলো
এঁকে ফেলি তোমার কিছুটা ফুল ও দুর্বাঘাস
সীমার মধ্যে অসীমাকে আমি পাইনা
তাই বলি এসো অনন্তকে ঘিরে থাকি
অসুখের ভাণ করতে করতে
মহাজংগলটিকে অসুস্থ ভান্ডার করে তুলি
তারপর কবিতার তাবিচ-কবচ পরে
গলায় গামছা দিয়ে বলি কমেন্ট করো কমেন্ট করো!
পাঁচ
ক্ষতবিক্ষত হয়ে নিজে আরো ফালাফালা হই
জংগল বেটে লাগানোর পরেও তাতে নুন চেপে দেই
ঘন অন্ধকারে ছায়ার থেকে রক্ত তুলে এনে
ছড়িয়ে দেই নিজের শরীরে
বলি,\’সহ্য কর সহ্য কর\’
দাঁতে দাঁত চেপে মুখোশে কবিতা লিখি
ভ্রমকে শিরোনাম হীন জংগল বলে সম্বোধন করি
কয়েক পংক্তি পৃথিবী প্রকাশ পেলে
প্রকাশককে কানে কানে বলি
লেখো ক্ষয় লেখো জয়
লেখো আমার নিভৃত প্রলয়!
5 comments on “কবিতা : রিমি দে”
ANUJ MAJUMDER
চমৎকার, এভাবেই লিখে যাও নিভৃত প্রলয়
Jaya Kundu
ঠিক তোমার মত.. কিছু প্রকাশ্য অনেকখানি অনাবিষ্কৃত
SOUMANA DASGUPTA.
খুব ভালো লাগল রিমি। পাখিরা ধূসর ওড়ায়… চমৎকার!
Kiriti
রিমি দে-র স্বতন্ত্র স্বর!
Shirsha Mondal
খুব সুন্দর।